রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে যমুনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতায় তিন ব্যক্তিকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিন্নাত জাহান জুনু এ রায় দেন।

১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৪ জন আসামির মধ্যে বেলাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত। মামলার আরেক আসামি হুরমুজ আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ মামলার বাকি ১২ জন আসামি খালাস পান।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বেলাল হোসেন (৪২) টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার রামাইল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হুরমুজ আলী (৪৪) চরশশুয়া গ্রামের মৃত চান মাহমুদ মন্ডলের ছেলে।

নিহত তিনজন হলেন, সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলু রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার জোমার খুকশিয়া গ্রামের মৃত গাদু শেখের ছেলে ইউসূফ আলী ও কাজল গ্রামের মৃত হযরত আলী তালুকদারের ছেলেমাঝি কুরবান আলী তালুকদার।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবুল কাশেম তারা জানান, যমুনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতায় ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকালে সরিষাবাড়ি উপজেলার চরনলসন্ধ্যা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলন্ত নৌকাসহ তিনজনকে অপহরণ করে বেলাল ও তার লোকজন। অপহরণের পর ফজলু মেম্বারের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কয়েক দিন পর ফজলু মেম্বার ও ইউসুফ আলীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলার দু জায়গা থেকে পাওয়া গেলেও নৌকার মাঝি কোরবান আলীর মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, মামলা দায়েরের পর সকল আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ১১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ রায় দেন।

(আরআর/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০২১)