স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে না আসেন, সেই কাজটিই করেছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাউছার।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো মনে করি— একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসার জন্য বলেছি। তারা (বিএনপি) ভোটাররা যেন না আসে সেই কাজটি করেছে।’

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত অভিযোগ জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে এবিএম রিয়াজুল কবীর কাউছারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ইসি সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চসিক নির্বাচনে ‘স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে’ বলে দাবি করেন রিয়াজুল কবীর কাউছার।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে, নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আজকে আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম যে, সকাল বেলা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্যানিক (ভীতি) সৃষ্টি করা হয়েছে। যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে না পারে।’

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোন্দলের কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে— এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে রিয়াজুল কবীর কাউছার বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। কাউন্সিলর পদে আমরা মনোনয়ন বা সমর্থন দেইনি। এটা (সহিংসতা) স্থানীয়ভাবে হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডগুলো সংগঠিত হয়েছে। যেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। দলগত অবস্থান থেকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই।’

ইসির কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কী ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের ছেলে ইমনকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাত করেছেন। চট্টগ্রাম মহানগরের পাথরঘাটার বালিতে বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল ইভিএম মেশিন ভেঙে ফেলেছে এবং কেন্দ্র দখল করেছে। নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় বিএনপির লোকজন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। পাচলাইশ এলাকায় আমাদের নির্বাচনী এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ প্রায় ৪০টি ওয়ার্ডে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। চট্টগ্রামের একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ো করে ভোটাররা যেন ভোট দিতে না পারে, সেই কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এই বিষয়গুলো আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে গেলাম।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০২১)