আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : চলছে তৃতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচন আর মাত্র দুই দিন বাকী পাংশা পৌর নির্বাচনের। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছে প্রার্থী, ভোটার ও সাধারণ জনগণের মধ্যে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাংশা পৌর এলাকার অলি-গলি। প্রচার-প্রচারণা ও  গনসংযোগের পাশাপাশি চলছে মাইকে তোর জোর প্রচারণা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে এবং ভোটারদের মন জয় করতে কাছে টানছেন এবং দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।

আগামী ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় দফা পৌর নির্বাচনে পাংশা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এ নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সতন্ত্র মেয়র পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের অবস্থান অনেক ভালো লক্ষ করা যাচ্ছে। এ প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের বড় বড় নেতারা করে প্রচার-প্রচারনা আসছেন। তাছাড়া মোঃ ওয়াজেদ আলী মাষ্টার সাবেক সফল মেয়র হওয়ায় পরিচিতিতেও এগিয়ে আছেন।

তবে ভোটাররা মাদক, সন্ত্রাস রোধ ও রাস্তা ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখবে এমন প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে চান তারা।মেয়র পদে যারা পাংশা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী মোঃ ওয়াজেদ আলী মাষ্টার (নৌকা প্রতিক), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী মোঃ রইচ উদ্দিন খান (ধানের শীষ প্রতিক) ও বহিস্কৃত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক(স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী ফজলুল হক ফরহাদ (জগ) প্রতীকসহ ৩ জন ।

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে বেশ তোর জোর করেই প্রচার-প্রচারণা করছেন। তারা বলেন, মাদক, সন্ত্রাস রোধ ও উন্নয়নে যে প্রার্থী ভূমিকা রাখবে, এমন প্রার্থীকে তারা নির্বাচিত করতে চান। সকল স্তরের নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোট চাইছেন এবং এলাকার ভোটারদের মধ্যেও বেশ আনন্দ ও উৎসাহ বিরাজ করছে। আশা করছেন নৌকার প্রার্থীই বিজয়ী হবেন ইতিমধ্য দলের আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ফজলুল হক ফরহাদ (জগ)প্রতীক বলেন, সতন্ত্র প্রার্থীও হলে তিনি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তার ও বয়েছেন অনেক অভিযোগ। ইতিমধ্যে ফজলুল হক ফরহাদ দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন বিদ্রহী প্রার্থী হওয়ার কারণে বহিস্কার হওয়ার পর তার নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা পরেছে বেশ। তারপরও তিনি আশাবাদী জনগণের ভালবাসায় তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন তিনি। নির্বাচতি হলে পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আধুনিক ও ডিজিটাল পৌরসভার ক্ষেত্রে সকল কিছু করবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী মোঃ রইচ উদ্দিন খান (ধানের শীষ প্রতিক) তার ও অভিযোগের শেষ নাই তারপরও তিনি আশাবাদী জনগণের ভালবাসায় তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন তিনি। নির্বাচতি হলে পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আধুনিক ও ডিজিটাল পৌরসভার ক্ষেত্রে সকল কিছু করবেন। তবে তারও নির্বাচনী প্রচারণা অনেটা গতিহীন লক্ষকরা গেছে।

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোঃওয়াজেদ আলী মাষ্টার বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারপরও তিনি নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করছেন। আমার জনপ্রিয়তা এবং যোগ্যতা আছে বলেই তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এবং তিনি বিজয়ী হবেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে যুবলীগ নেতাকে দাঁড় করানো হয়েছে, সে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং একটি চক্র নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করছেন ও তাকে নির্বাচনে উদ্ভূদ্ধ করছেন। আগামী ৩০শে জানুয়ারী নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন।

তিনি পাংশা পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা উপহার দিবেন জলসয় নিরসণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার, রাস্তাঘাট, নগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের দূর্ভোগ লাগব করবেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার তার পাশেই আছেন। তিনি আরো বলেন, এ জয় হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়, পাংশা পৌরবাসীর জয়।

রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন ও পাংশা পৌরসভা নির্বাচন রিটানিং অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, পাংশায় নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভাল। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। প্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আচরণ বিধি দেখার জন্ জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিন প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বায়িত্বে থাকবে।

তিনি আশা করছেন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লখ্য যে, পাংশা পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১১৩ জন ও মহিলা ভোটার ১২ হাজার ২০০ জন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২১)