স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে রেস্তুরাঁয় ঢুকে দলের সিনিয়র নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের দলীয় মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমান। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার পৌর নির্বাচনের পরিবেশ ২৪ ঘন্টার ভেতর ফিরিয়ে আনা এবং বিএনপির নেতাদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী এই প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে জনাকির্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন,সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ন সাধারণ সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বকস, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মুয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমান বলেন, বুধবার ২৭ জানুয়ারি সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপি সভাপতি এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে গণসংযোগ শেষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমানসহ সিনিয়র নেতারা শাহমোস্তফা সড়কের ইসমাইল রেস্টুরেন্টে চা চক্র চলাকালীন সময় পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়। হামলায় আমাদের দলের ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

তিনি বলেন, আমাদের জনসংযোগ চলাকালীন শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী শিমুল, রনি, মাহবুব ও আমিনের নেতৃত্বে তিনটি মোটর সাইকেল চালিয়ে পিছন থেকে আমাদের গণসংযোগে ঢোকার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে গণসংযোগ শেষে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শাহমোস্তফা সড়কের ইসমাইল রেস্টরেন্টে চাচক্র চলাকালিন সময়ে আবার তাদেরই নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্র ও যুবলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা মোটরসাইকেল যোগে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতৃবৃন্দের উপর অতর্কিত হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে।

হামলায় আমাদের নেতা মাহমুদুর রহমান, শামীম আহমদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তারা হোটেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ আশপাশের এলাকায় তান্ডব চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আমাদের নেতৃবৃন্দ অতর্কিত এহামলায় কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়ে এবং প্রানভয়ে রেস্টুরেন্টের পিছনের দরজা দিয়ে সরে যেতে সক্ষম হন। যা মৌলভীবাজার জেলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম।

তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচনের আর কোন পরিবেশ নেই। অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন হলে তাদের শোচনীয় পরাজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামীলীগ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনের ন্যায় সন্ত্রাসী কায়দায় জোর জবরদস্থী ও কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জেতার জন্য বদ্ধ পরিকর বলে আমি এবং আমার দল বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান ও দলীয় মেয়র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী ফয়জুল করিম ময়ূন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২১)