রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গুলি ও ভারতীয় টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান  উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক অস্ত্র আইনের ১৯(এফ) ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠণ করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাােবক পিপি অ্যাড. আবু বক্কর ছিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে শাহেদ করিম। বোরখা পরিহিত শাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রীজের নীচ থেকে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, ৩রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয় রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে শাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রথমে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র। দুইদিন পর র‌্যাবের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০ দিনের রিমান্ড নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র শাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২১)