ফরিদপুর প্রতিনিধি : অন্যের জমি ভূয়া মালিকানা সেজে সরকারের নিকট হস্তান্তর করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইকরাম আলী মুন্সির বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪৯নং বড়দিয়া মৌজার বিএস খতিয়ান ৯৯৭ ও বিএস ২৮৮ দাগে, মোট ১৮ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক হরেন্দ্র নাথ রায়। এই জমির প্রকৃত মালিক প্রায় ৫০ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের কেউ উক্ত জমির বিষয়ে কিছু জানত না। এই হরেন্দ্র নাথের জমির পাশেই ছিল ইকরাম আলী মুন্সির জমি।

ঐ জমির ভুয়া মালিক সেজে নিজের নামে জাল দলিল করে। সম্প্রতি পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের জন্য ভাঙ্গা থেকে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দিলে প্রতারক ইকরাম আলী মন্সি উক্ত জমির ১৮ শতাংশের মধ্যে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি সরকারের নিকট হস্তান্তর করে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এই জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে হরেন্দ্র নাথের ওয়ারিশগণ ঐ জমির প্রকৃত মালিক বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইকরাম আলী মুন্সি ঐ ভুয়া মালিক প্রমাণিত হলে সরকারের নিকট থেকে নেওয়া ৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা সরকারি তহবিলে ফেরত প্রদান করেভে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইকরাম আলী মুন্সি নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তান্ডব চালিয়ে আসছে। অভিযোগে জানা যায়, তিনি মেম্বার থাকা কালীন বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন। তখন থেকেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যাতায়াত করার কারনে জমি জাল দলিল করার পদ্ধতি ভালোভাবে আযত্ব করে মোট ১৮ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক হরেন্দ্র নাথ না থাকায় নিজের মত করে উক্ত জমি জাল দলিল করে এবং সরকারের নিকট সাড়ে ৮ শতাংশ হস্তান্তর করে। কিন্তু এই জাল দলিলকৃত জমি কিভাবে সরকারের কাছে বিক্রি করে এনিয়ে জনমনে এক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

(ডিসি/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২১)