রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ‘মোর জীবনে মুই এত দামের কম্বল গাত(গায়ে) দ্যাং নাই, ভগবান তোমাকগুলাক ভালো করুক! মুই মরি গ্যালে মোর চিতাত যেন কম্বলটা তুলি দেয়’- কথাগুলো আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন আলোচিত কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গরুর সাথে বসবাসকারী অশীতিপর বৃদ্ধা শান্তিবালা (৮১)। 

শুক্রবার দুপুরে তার অর্ধভগ্ন বাড়িতে তাকে শাড়ী-কম্বল ও চাদর দিতে গেলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আরো বলেন, ‘প্যাটত খাবার না থাকলে মানুষ দ্যাখে না, কিন্তু থাকপার (বাস করার) ঘর না থাকলে মানুষ দ্যাখে। মুই কি একনা থাকপার ঘর পাবার নং বাহে।’

সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল দক্ষিণপাড়ার ভজন চন্দ্র নাথ উদ্বুদ্ধ হয়ে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক মোল্লা হারুন উর রশীদের সাথে যোগাযোগ করে শান্তিবালার জন্য একটি বিদেশী দামী কম্বল-শাড়ী ও গায়ের চাদর পাঠিয়ে দেন।

শুক্রবার দুপুরে রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক মালিপাড়া গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধা শান্তিবালার বাড়িতে গিয়ে মোল্লা হারুন উর রশীদ তার হাতে পাঠকের দেয়া উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এসময় প্রেসক্লাব রাজারহাটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২১)