আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিক তালিকা অনুযায়ি সাধারণ গেজেট ও বিভিন্ন বাহিনীর গেজেটভুক্ত ভাতা প্রাপ্ত ৪৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে। তবে লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এই যাচাই বাছাইয়ের আওতায় থাকছেন না। প্রথমবার মন্ত্রণালয়ের ওয়বেসাইটে ৯৪ জনের তালিকা প্রকাশিত হলেও দ্বিতীয় দফায় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে মাত্র ৪৬জনের।

সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুযারি থেকে যাচাই বাছায়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের সির্দেশিকা অনুযায়ি ইতোমধ্যেই চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা কমিটিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) প্রতিনিধি হিসেবে কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু তাহের মিয়া, সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম, স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কমিটির সদস্য হয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আইয়ুব আলী মিয়া এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক (অব) লিয়াকত আলী হাওলাদার।

সূত্র মতে, মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত সাধারণ গেজেটভুক্ত ৪১জন এবং বিভিন্ন বাহিনীর ৫জনসহ মোট ৪৬জন মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাই বাছাই এবং সাক্ষাৎকার গ্রহন করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে কমিটির সদস্যরা মন্ত্রনালয়ে তাদের সুপারিশসহ সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণ করবেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় কমান্ড কাউন্সিল ও জামুকার সুপারিশ ছাড়া ভিন্ন উপায়ে গেজেটভুক্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ভাতা প্রাপ্ত এসব মুক্তিযোদ্ধাগন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের ম্যনেজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

উপজেলা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়ক, উপজেলা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা যোদ্ধারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ও সুযোগ সুবিধা গ্রহনের পাশাপাশি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নামধারী অ-মুক্তিযোদ্ধাদের এই বাছাইয়ের মাধ্যমে বাদ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের কলংক দূর করা এখন সময়ের দাবি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, প্রথম বারের তালিকায় ৯৪জনের নাম অন্তর্ভূক্ত থাকলেও মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত যাচাই বাছাইয়ের দ্বিতীয় তালিকায় অজ্ঞাত কারনে তা অর্ধেকে নেমে দাড়িয়েছে মাত্র ৪৬জনে। কি কারনে অর্ধেক নাম বাদ দিয়ে বাছাই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত বলেও মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। দ্বিতীয় তালিকায় নাম না থাকায় বিতর্কিত অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এই যাচাই বাছাইয়ের আওতায় না পরায় তারা ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে বলে তাদের নাম তালিকায় থাকা উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন তিনি।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২১)