চৌধুরী আবদুল হান্নান


পত্রিকায় প্রকাশ, থিসিস নকল করার বা চৌর্যবৃত্তির অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং প্রভাষক মাহফুজুল হককে শাস্তি দেয়া হয়েছে, পদাবনতি করা হয়েছে।

চমকপ্রদ খবর হলো—অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমানিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের চাকুরিচ্যুৎ করা হয়নি।চৌর্যকান্ডের পরও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন,শিক্ষা দেবেন।কী শিক্ষা দেবেন তারা ?

ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ১৯৮২ সালে প্রকাশিত “ দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার “ শীর্ষক নিবন্ধ থেকে পাঁচ পৃষ্ঠার হুবহু নকল করেছেন তারা।

জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে সন্মান কিছুটা হলেও রক্ষা পেত,এখন শিক্ষক হিসেবে তারা শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াবেন কী করে ? অবশ্য সামান্যতম সন্মান বোধ থাকলে তো চুরিই করতেন না !

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদেরকে আদর্শ মনে করে, অনুসরণ করে। এখানে এমন অনৈতিকতার উপযুক্ত বিচার না হওয়া মেনে নেয়া যায় না।

শিক্ষাবিদরা বলেছেন— শিক্ষকের থিসিস নকল করা বড় অপরাধ,এতে শিক্ষকতা করার নৈতিক ভিত্তি থাকে না। কত শত ভদ্রবেশী প্রতারক চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে,অমিও বাণী বর্ষণ করছে,মুখোশ খুলে না পড়া পর্যন্ত তারা সমাজে সাধুই থেকে যায় ।

লেখক : সাবেক ব্যাংকার।