জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : জকিগঞ্জে বিকাশ গ্রাহকরা গত দুইমাস থেকে চরম ভূগান্তিতে রয়েছেন। এজেন্ট পয়েন্টে নিজেদের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না তারা। 

বিকাশ গ্রাহকআক্তারুজ্জামান বলেন, জকিগঞ্জের প্রতিটি এজেন্ট পয়েন্ট ঘুরে ২০ হাজার টাকা তুলতে পারিনি। টাকা তুলতে না পেরে এমনি এ দোকান ও দোকান ঘুরছেন শতশত বিকাশ গ্রাহক।

জকিগঞ্জ বাজারের বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বাটা টেলিকম, জননী ফটোগ্রাফিক্স এন্ড টেলিকম, হাফসা টেলিকম, ইত্যাদি টেলিকম, ভাই ভাই টেলিকমের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,জকিগঞ্জের বিকাশ ডিস্টিবিউটর গচিয়া ট্রেডিং এর মালিক ইয়ামিন আজমান গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এজেন্টদের কাছ থেকে লক্ষলক্ষ টাকা বিটুবি হাতিয়ে নিয়ে এজেন্টদের টাকা ফেরত দেয়নি।

অপরদিকে তাদের একাউন্টের জমা টাকাও উত্তোলন করতে পারছে না। ফলে অনেক ব্যবসায়ী টাকার অভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। কোন কোন ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছেন। বাটা টেলিকমের মালিক সুমন আহমদ বলেন, বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে তার বিটুবির দুইলক্ষ দশ হাজার টাকা পাওনা কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।

জননী ফটোগ্রাফিক্স এন্ড টেলিকমের গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, মনপুরা ফটোস্টেটের ফয়জুল হক, হাফসা টেলিকমের মোস্তফা আহমদ, মুসাফির স্টোরের আব্দুর রহমান, মোবাইল সিটির সয়ফু আহমদ জানান, প্রায় প্রতিটি ব্যবসায়ীর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এ ব্যাপারে বিকাশ অফিসের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সাড়াপাচ্ছেন না তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসায়ীদের অগ্রিম বিটুবি দিতে বাধ্য করতেন। অগ্রিম বিটুবি না দিলে তিনি টাকা দিতেন না। এসব কারণে ভুগান্তি পোহাচ্ছেন জকিগঞ্জ উপজেলার বিকাশ গ্রাহক ও বিকাশ ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর ইয়ামিন আজমানের মুঠফোনে বারবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, এ অনাকাংখিত সমস্যাটির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হয়েছে।

(এসপি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১)