সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : কৃষক দুলাল মিয়া। নিজের বসত বাড়ি না থাকায় থাকেন বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া দাসপাড়া গ্রামের শশুবাড়িতে। তিন দিন আগে আগুনে বসতঘর গোয়াল ঘর সহ গরু ছাগল হাঁস, মুরগী ও আসবাব পত্র সহ  কিছু নগদ টাকা ও পুড়ে গেছে। ফলে সর্বশান্ত হয়ে যান তিনি।

শুক্রবার দুপুরে তার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন খন্দকার সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা ।

তার অসহায় অবস্থা দেখে ইউএনও মইন খন্দকার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষনা করেন যার বাড়ি নেই, ঘর নেই সেই সব অসহায় মানুুষের পাশে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আধাপাকা ঘর ও নিজস্ব বাড়ি হিসাবে দুই শতাংশ ভূমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে।

এরকম একটি সুযোগ চাইলে দুলাল মিয়া নিতে পারেন। সরকারের নির্দেশে বলাইশিমুল ইউনিয়নে আমরা যে দশটি ঘর করেছি তার মধ্যে একজন ব্যক্তি সেখানে যাবেন না। সেখানেই দুলাল মিয়াকে আধাপাকা একটি ঘর এবং বাড়ি দিতে পারি। এ ঘোষনায় কৃষক দুলাল মিয়া ও তার পরিবার খুব খুশি।

আগুন লাগার সর্বপ্রথম খবরটি প্রচার হয় হৃদয়ে কেন্দুয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর পর মানবতার টানে এগিয়ে আসেন অনেকে। ছিলিমপুর গ্রামের হলি খান দুই দফায় দুলাল মিয়াকে একটি ঘর করে দিতে নগদ ৪০ হাজার টাকা, কল্যানী যুব ফাউন্ডেশন ১০ হাজার টাকা, বলাইশিমুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ৬ হাজার টাকা, গন্ডা ইউনিয়নের সারোয়ার মোর্শেদ মাসুম ৫ হাজার টাকা, সাদেক ২ হাজার টাকা দেন।

এছাড়া সমাজ হিতৈষী বিভিন্ন জনেরা দুলাল মিয়ার পরিবারের ব্যবহারের জন্য তালা বাসুন, হাড়ি পাতিল, ব্যবহারিক কাপড়- ছোপড় দিয়ে অনেকে সহযোগীতা করেন। দুলাল মিয়ার পরিবার সরকার ও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১)