আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা  : য়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের একটি দরজার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ভিয়েতনামের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উড়ন্ত অবস্থায় বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তা রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে ছদ্ম পরিচয়ে বিমানে উঠা দুই যাত্রীর প্রকৃত পরিচয় বের করার চেষ্টা করছে।

কোনো প্রমাণ না থাকায় বিমানটি সন্ত্রাসী না আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছে তা জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কোনো হামলায় দায়িত্বও স্বীকার করেনি।

মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান রোদজালি দাউদ জানান, বিমানটি সম্ভবত গতি পরিবর্তন করে ফিরে আসার চেষ্টা করছিল বলে রাডারে ধরা পড়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিমানটি গতিপরিবর্তন করেছিল বলে সেনাবাহিনীর রাডার ও বেসামরিক রাডারে ধরা পড়েছে। আমরা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছি।’

২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রুসহ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি শনিবার নিখোঁজ হয়। বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাচ্ছিল।

বিমানটি শনিবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪০ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটির বেইজিং এ পৌঁছানোর কথা ছিল। কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা শুরু করার দুইঘণ্টা পর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি উড়ন্ত অবস্থায় বিধ্বস্ত হয়ে নিচে পড়ে গেছে। বিমান চালকের সে সময় কন্ট্রোল টাওয়ারে বার্তা পাঠানোর মতো সময় ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পেশাদার এয়ারলাইন্স পরিচালিত আধুনিক বিমানগুলো সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে না। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

(ওএস/এইচআর/মার্চ ১০, ২১০৪)