লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে শাহ আতাউল হক ওয়াকফ (আওলাদ) এর সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হামদর্দ এর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামদর্দ বিতর্কিত জমিতে কাজ করতে গেলে বাধা দেয় ওয়াকফর মোতওয়াল্লী শাহ মেজবাউল হক শাকিল।

ওয়াকফর মোতওয়াল্লী শাকিল অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা শাহ আতাউল হক আমার দাদা শাহ মনছুরুল হক থেকে ৯.৫০ শতক ভূমি খরিদ করেন। যার জমা খারিজ খতিয়ান নং ২৫৮৬ নথি নং ১৬০/৮৫-৮৬মূলে এসএ ৯৭১ নং খতিয়ান হইতে খারিজ করেন। যার দাগ নং ৩৮০৭।

শাহ আতাউল হক ৯.৫০শতক ভূমির মালিক থাকা অবস্থায় ৮৫ সালে ১৭০১১ নং ওয়াকফ আওলাদ দলিল দ্বারা ৪.৭৫ ভুমি ওয়াকফ করেন। ওয়াকিফ জীবনদশায় ওয়াকফ প্রশাসন বরাবর আবেদন করে ইসি নং ১৯৮৬৯ মুলে তালিকা ভুক্ত করেন শাহ আতাউল হক ওয়াকফ এস্ট্রেট নাম করন করে নিজেই রেকর্ডীয় মোতওয়াল্লি নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে ওয়াকিফ শাহ আতাউল হক মৃত্যু বরন করিলে বড় ছেলে শাহ মেজবাউল হক শাকিল স্থায়ী মোতওয়াল্লি নিযুক্ত হয়ে ওয়াকফ'র সকল ব্যয়ভার বহন করিয়া আসিতেছে।

ইতিপূর্বে আমিসহ শাহ মনছুরুল হকের ওয়ারিশ ১৭ জন থেকে ৪.৫০ শতক ভুমি হামদর্দ ক্রয় করে। যাহার মধ্যে আমার অংশ ০.০৫ শতক। অথচ তারা এই দলিল মূলে শাহ আতাউল হক ওয়াকফ আওলাদ এর জমি দাবী করে কাজ করতে চাইলে বাধা দেই। মূলত তারা এই ওয়াকফ জমির কোন অংশের মালিক নহে। বা আমি মোতওয়াল্লী থাকাবস্থায় ওয়াকফর কোন জমি বিক্রি করি নাই।

ইতিপূর্বে হামদর্দ লক্ষ্মীপুর আমার দখলীয় ভূমিতে কাজ করতে গেলে আমি বাধা প্রদান করি।ইহাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি - ধামকী ও ভয়ভীতি দেখায়।বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় আছি।

হামদর্দ ওয়াকফর পক্ষে ডা. মিজানুর রহমান জানান, হামদর্দ দীর্ঘদিন যাবত এই সম্পত্তি ভোগদখলে থাকিযা শাহ মনছুরুল হকের ওযারিশ ১৭ জনের থেকে ওয়াকফ দলিলমূলে পৌনে পাঁচ শতক ভুমি ক্রয় করে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১)