অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে বাদ পরায় রায়হানপুর ইউনিয়নের শারিরীক অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেঃ জালাল আহম্মেদ এর পক্ষে তার ছেলে মোঃ বেল্লাল রবিবার দুপুর ১২টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময়ে তার সাথে পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য এম এ খালেক (খালেক মিলিটারি), মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ অাঃ ছত্তার খান,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহানসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে বেল্লাল হোসেনসহ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের অাক্রশ মুলক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে।

তারা পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা হয়।
পাথরঘাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ে সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ‌ করেন তারা।

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন ,পাথরঘাটা সদ্য সমাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে মো.কামাল উদ্দিন একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।তাছাড়া ওই বোর্ডের সদস্য শাহজাহান কখনোই মুক্তিযোদ্ধা করেননি এবং ভারতেও গমন করেন নি। তিনি ছিলেন নকশাল বাহিনী। মানিকখালী ছাড়া তিনি কোথাও যাননি এবং তিনি ছিলেন পলাতক আসামী।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান তিনি ও কখনো সম্মুখ যুদ্ধ করেননি তিনি ছিলেন নকশাল তিনিও ভারতে গমন করেন নি। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো কামাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক মিলিটারি(এম এ খালেক) ও শহিদুল আলম তালুকদার এর কাছে আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। যাচাই-বাছাই বোর্ডে শুধুমাত্র কামালউদ্দিন ছাড়া অন্য কাউকে তারা মুক্তিযুদ্ধ করতে দেখেননি বলেও লিখিত অভিযোগে জানান। তারা সরকারি আইন অমান্য করে নিজেদের আর্থিকভাবে স্বার্থ হাসিলের জন্য একতরফা যাচাই বাছাই করেছেন যা আমরা মানি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা লিখিত দরখাস্ত দিলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়েই তারা যাচাই-বাছাই করেছেন।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো শাহজাহানকে সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান এবং কামাল উদ্দিন কে সদস্য করে কমিটি করে দেয়। পরে ওই কমিটি ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করে।

এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন,যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সদস্যদের নির্বাচিত করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। সুতরাং এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

(এটি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১)