মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলবীবাজার : গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের চাদনীঘাট ব্রিজের উপর গাড়ী চাপায় অঞ্জনা (আলমগীর আহমদ) নামের তৃতীয় লিঙ্গের এক হিজড়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতদের আসামী করে দায়ের করা মামলায় মোঃ আসুক মিয়া(৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে দীর্ঘ আড়াই মাস পর মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সড়াইল থানার প্রত্যন্ত হাওড় বেষ্টিত সাজদাপুর গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী ও রিক্সাচালক এর ছদ্মবেশ ধারণ করে অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টানা ২৯ ঘন্টার চেষ্টায় মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আলোচিত এই ঘটনার আসামী আসুক মিয়াকে। গ্রেফতারকৃত আসুক মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাতাবপুর গ্রামের মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আসামী আসুক মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নির্দেশনায় ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায়, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিনুল হক, পুলিশ পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দেব ও পুলিশ পরিদর্শক বদিউজ্জামান এর সার্বিক তত্বাবধানে উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক এর নেতৃত্বে সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলম সহ পুলিশের একটি চৌকস টিম ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানা ও সড়াইল থানা এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী ও রিক্সাচালক এর ছদ্মবেশ ধারণ করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ ২৯ ঘন্টার বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে সড়াইল থানার হাওড় বেষ্টিত সাজদাপুর এলাকা থেকে হিজরা হত্যার ( ক্লুলেস) মামলার আসামী মোঃ আসুক মিয়াকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঘটনার পরদিন থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন আতœগোপনে ছিল আসুক।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১)