দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ‘যক্ষা হলে রক্ষা নাই, এই কথার ভিত্তি নাই’ শ্লোগান নিয়ে সেবা প্রতিষ্ঠানে রোগী সনাক্ত ও চিকিৎসা সেবা বাড়লেও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রাণ কেড়েই চলছে এই মরণব্যাধী। গণসচেতনতা বাড়াতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সদরের নুরভানু ও গছানী গ্রামের আব্দুল আলম সর্বশেষ যক্ষা রোগের শিকার। মহামারি করোনা মোকাবেলায় ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন’ নীতিগ্রহণ করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। দশমিনায় যক্ষা সেবা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাককর্মীরা এ সময়ও মাঠঘাট ঘুড়ে রোগী সনাক্তকরণ করেছে। ভেতরের রোগ বাহ্যিক প্রকাশ হবার পরেই খবর পায় সেবা প্রতিষ্ঠান কর্মীরা। এক সময়ের মরনব্যাধী যক্ষা শরীরেপুষেও নিজের ও পূর্বপূরুষদের কৃতকর্মের অভিশাপ ভেবে সামাজিক ভয়-লজ্জার কারণে সনাক্তকরণ পরীক্ষা এড়িয়ে গেছে অনেকে।

দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক সূত্রে জানায়, ২০০৪ সাল থেকে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নিরোধ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এ দপ্তরে ২০০৪-১৬ সালের সেবাপ্রার্থী ও মৃতের হিসেব সংরক্ষণে না থাকলেও ২০১৭ সালে ১৭১ সেবাপ্রার্থীর ৪জন, ২০১৮ সালে ১৭৪ সেবাপ্রার্থীর ৭জন, ২০১৯ সালে ২৯৮ সেবাপ্রার্থীর ৬ জন ও ২০২০ বছরে ২২৫ সেবাপ্রার্থীর ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরেও ২৫ সনাক্তরোগীর মধ্যে ২ জন মৃত্যুর ঘটনা দেখা গেছে।

সেবাপ্রার্থী মৃত্যুর ঘটনায় টিবি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, শেষ সময়ে চিকিৎসা নেয়া, নিয়মিত ঔষধ সেবন না করা মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, হাঁচি-কাশি, জ্বর ও বুকের ব্যথা সাধারণ রোগ বিবেচনায় এড়িয়ে যাবার ঘটনায় মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস রোগের বিস্তার থামছেনা। যক্ষা রোগ কোন অভিশাপের কারণ নয় ও প্রাথমিক আক্রান্তকালে পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে আরও গণসচেতনতা বাড়াতে হবে।

(এনসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১)