স্পোর্টস ডেস্ক : প্রত্যেক সফল পুরুষের গল্পের পেছনে নাকি একজন নারী থাকে। বিরাট কোহলির সাফল্যের পেছনের সেই নারীটি তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা। আনুশকাকে নিজের জীবনের শক্তির স্তম্ভ মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাসের পডকাস্টে কোহলি নিজেই জানালেন একথা। এই অনুষ্ঠানেই কোহলি জানান, ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর তার জীবনে কেমন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল। সেই সফরে ভারত-অধিনায়ক পাঁচ টেস্টে করেছিলেন মাত্র ১৩৪ রান। তখন তিনি এতটাই মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন যে, নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ ভাবতেন।

তবে সেই নিঃসঙ্গতা স্থায়ী হয়নি। হতে দেননি স্ত্রী আনুশকা। যেহেতু বলিউডের মত কঠিন দুনিয়ায় তার বিচরণ, কঠিন সময় উৎড়ানোর কৌশলটা ভালোই জানা আনুশকার। স্বামীকেও সঠিক সাপোর্টটা তাই দিতে পেরেছেন তিনি।

ইংল্যান্ডে ব্যর্থতার পরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে অবিশ্বাসভাবে ঘুরে দাঁড়ান কোহলি। মিচেল জনসনদের আগুনে গোলা সামলে চার টেস্টের সিরিজে চার সেঞ্চুরিসহ ৬৯৭ রান করেন।

কোহলি জানালেন, কী ভাবে স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে মানসিক জটিলতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আনুশকার সঙ্গে প্রাণ খুলে প্রচুর কথা বলেছিলাম। আলোচনা করেছিলাম, কী ভাবে সব ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। আনুশকা আমার শক্তির স্তম্ভ। তার একটা কারণ ও নিজেই এমন একটা উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে নানা ধরনের নেতিবাচক ব্যাপারের মুখোমুখি হতে হয়। ও যেমন আমার দিকটা বোঝে, তেমন আমি বুঝতে পারি ওর দিকটা।’

কোহলি যোগ করেন, ‘আমি কী ভাবছি, কোন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, সেটা বোঝার মতো একজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি। জানি না আনুশকা আমার জীবনে না এলে, জীবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলো সামলাতে পারতাম কি না।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১)