লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেমে পড়লে না-কি মানুষ জ্ঞানহীন হয়ে পড়েন! আবেগের বশে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না অনেকেই।

তবে সম্পর্কের শুরুতেই যদি সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন; তাহলেই দাম্পত্য জীবন হবে সুখের।

অনেকেই আছেন দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পরও বুঝতে পারেন না; সঙ্গীর সঙ্গে তার সম্পর্কটি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে।

অনেকে আবার বিবাদ সহ্য করেও সংসার বা সম্পর্ক চালাতে থাকেন। তাই আবেগ নয় বরং বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

দীর্ঘদিন সম্পর্কে থেকেও সঙ্গীর সঙ্গে আপনি সুখী কি-না, তা বুঝতে না পারেন; তাহলে নিজেকেই করুন ৫টি প্রশ্ন। তাহলেই আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন।

স্থায়ী সম্পর্কের জন্য আপনি কী প্রস্তুত?

সম্পর্কে অনেকেই সিরিয়াস থাকেন না। শুধু ভালো লাগা ও সাময়িক ভালোবাসার কারণে সঙ্গীর প্রতি টান অনুভব করেন। তখনো হয়তো অনেকেই ওই সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের বিষয়ে ভাবেন না।

এজন্য আপনি সম্পর্কে সুখী কি-না বুঝতে নিজেকেই প্রশ্ন করুন এ বিষয়ে। যদি আপনার মন সায় দেয় তাহলে এগিয়ে যান। হয়তো আপনাদের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে কোনোরকম সংশয় থাকলে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করুন।

এ সম্পর্কটি কি আপনার ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলছে?

সঙ্গীর কাছে অনেকেই বাকস্বাধীনতা বা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার সঙ্গী যদি বেশি মাত্রায় সন্দেহপ্রবণ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এমন সমস্যা হতে পারে।

প্রতিটি বিষয়ে যদি সে আপনাকে সন্দেহ করে আর আপনি যদি এ ভয়ে কোনো ব্যাপারেই তার সঙ্গে কথা বলতে না পারেন; তাহলে সম্পর্কটি নিয়ে ভাবুন। এমন সম্পর্ক কখনো সুস্থ হতে পারে না।

সঙ্গীর পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আপনি কী মানিয়ে নিতে পেরেছেন?

প্রেম আর বিয়ে শুধু দুজন মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন।

তাই আপনি যদি পদে পদে প্রেমিক/স্বামীর বাড়ির সদস্যদের দ্বারা মানসিকভাবে হেনস্থার শিকার হন; তাহলে সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল।

পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস ও মতাদর্শের মিল আছে তো?

সম্পর্কে পরস্পরের মধ্যে যদি বিশ্বাসের ঘাটতি থাকে; তাহলে সে সম্পর্ক টিকে রাখা মুশকিল। সন্দেহ ও অবিশ্বাস একটি সম্পর্ক ধ্বংস করে দেয়। অনেক সময়ই বিশ্বাস ও মতাদর্শগত পার্থক্য নিয়ে আমরা বেশি মাথা ঘামাই না।

দীর্ঘমেয়াদে যখন বিষয়টি ঘটতে থাকে; তখন দুজনের মধ্যেও অশান্তি বেড়ে যায়। তাই প্রথম থেকেই এসব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলে নেওয়া উচিত।

আপনি কি সত্যিই সঙ্গীকে ভালোবাসেন?

এ প্রশ্নের উত্তর হিসেবে অনেকেই হয়তো ভাববেন, তাহলে একসঙ্গে এতো দিন রয়েছি কেন? তবে বিষয়টি ভিন্ন।

একসঙ্গে থাকলেও প্রতিদিনের অশান্তি-কলহে হয়তো সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসার পরিমাণ কমেও যেতে পারে। তাই নিজেকে সাহস করে হলেও এ প্রশ্নটি করুন।

যদি উত্তর হ্যাঁ হয়; তাহলে সবকিছু আবারও নতুনভাবে গুছিয়ে নিন। আর উত্তর না হলে, কষ্ট করে হলেও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কঠিন সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করুন। এতে আপনার জীবনই সুখের হবে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১)