চাঁদপুর প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশে ক্রোক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর সকল সম্পত্তি। ইতিমধ্যে ঐ খুনির সম্পত্তি শনাক্ত করেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে উক্ত সম্পত্তিতে সরকারি সাইনবোর্ড বসানো হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজা জানিয়েছেন। এর আগে গত ৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্টোপলিটন দক্ষিণ শাখার  বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট খুনি ও পলাতক রাশেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা পাঠান।

সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-১-এর স্মারক, যার নং-৭৮৩,৭৮৩। এ স্মারকে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ২৬৪ নং মৌজায় ১৩৬ নং খতিয়ানে ৯ একর সম্পত্তি রয়েছে। যা রাশেদ চৌধুরী গংয়ের মালিকানাধীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমরা রাশেদ চৌধুরীর সকল সম্পত্তি শনাক্ত ও পরিমাপ করেছি। তারা ৮ ভাই ও ১ বোন । পুরো ৯ একর সম্পত্তি তার পিতার। রাশেদ চৌধুরীর নিজস্ব কোনো সম্পত্তি নেই। তাই হিস্যা অনুযায়ী তার অংশের সম্পত্তিতে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হবে। আর তা ২/১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, গত ৮ এপ্রিল এসপি স্যার থেকে চিঠি পেয়ে ৯ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া কাজে যখন আমাদেরকে ডাকা হবে তখনই আমরা ঐ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা পালন করবো।

হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামের মৃত শিহাব উদ্দিন চৌধুরীর ৯ জন সন্তানের একজন রাশেদ চৌধুরী। জাতির জনক স্বপরিবারে হত্যার পরেও রাশেদ চৌধুরীর দাম্ভিকতা দেখিয়ে দেশে চলাফেরা করে। পরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কাজ শুরু হলে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছেন।

(এমজে/এইচআর/এপ্রিল ২১, ২০১৪)