ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : সুবর্ণচরে একটি অসহায় পরিবারকে উচ্ছ্বেদ করতে দির্ঘদিন ধরে  জোর পূর্বক জমি দখল, নির্যাতন, গাছ কেটে ফেলে হুমকি ধমকিসহ নানা হয়রানি ও নির্যাতনের করে আসছে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বার ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর বাগ্যা গ্রামে।  

ভুক্তভোগি উত্তর চরবাগ্যা গ্রামের মৃত মহসিন মিয়ার পুত্র মোঃ সিরাজ(৫৫) বলেন একই গ্রামের মৃত ছায়েদল হকের পুত্র আমার হোসেন(৪০) ও তার ছেলে মাকসুদ এবং উত্তর বাগ্যা গ্রামের বাসিন্ধা আলা উদ্দিন (৪২)সহ অজ্ঞাত নানা একদল সন্ত্রাসী দির্ঘদিন ধরে তার পৈত্রিক সম্পত্তি এবং তার ক্রয়কৃত ভূমি জোর পূর্বক দলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার অভিযুকক্ত আমির হোসেন ও তার ছেলে মাকসুদ তার বাড়ীতে ডুকে কয়েকটি ফলজ গাছ কেটে চলে যায় প্রতিবাদ করলে তারা সিরাজের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে মারধর করে। এব্যপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ সালিশে বসে এতে মাত্র ১ হাজার টাকায় মিংমাশা করার প্রস্তাব করলে সিরাজ তা প্রত্যাক্ষাণ করে।

ভুক্তভোগি সিরাজ বলেন " আমির, মাকসুদ, আলা উদ্দিন তারা একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র দির্ঘদিন ধরে তারা আমার ওপর নানা নির্যাতন চালিয়ে আসছে, আমি নদীতে মাছ ধরি কর্মের কারনে বাড়ীর বাহিরে থাকা হয় সে সুযোগে তারা বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে, গত কিছুদিন আগেও আমার ছেলে করিম জমিনের আইল কাটতে গেলে তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তারা চায় তাদের আত্যাচারে আমি যেন বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাই, আমি দিনমজুর মানুষ, দিন আনে দিন খাই আমার পৈতৃক সম্পত্তি আর মাথা গোজার ঠাঁই ছাড়া আর কিছুই নেই। তারা ভাটাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি ধমকি দেয়। আমি এসব অন্যায়ের উপযুক্ত বিচার চাই"।

চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,"আমির হোসেন গাছ কাটার বিষয়টি সত্য, তারা পাড়া প্রতিবেশী দির্ঘদিন ধরে ধন্ধ চলছে, গাছ কাটার যে ক্ষতি হয়েছে সে জন্য আমি আমির হোসেনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছি কিন্তু সিরাজ সে বিচার মানেনি"

অভিযুক্ত আমির হোসেন গাছ কাটার কথা স্বিকার করে বলেন "তারা আমার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়, এবং আমাও একটি গাছ কেটে পেলে সেজন্যই আমি ওদের গাছ গুলো কেটে দিয়েছি"।

এলাকাবাসী বলেন "আমির হোসেন খারাপ প্রকৃতির মানুষ, আচার ব্যবহার ভালোনা, প্রায় সময় এই পরিবারটাকে নির্যাতনের খবর শুনি, তাদেরকে মারধর করে, বাকবিতন্ডা করে"।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চরজব্বার থানার "তদন্দ (ওসি) ইব্রাহিম খলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,"এসব বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, কেউ অভিযোগ ও করেনি, অভিযোগ পেলে তন্দন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১)