আহমেদ ইসমাম, ঠাকুরগাঁও : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) র্কর্তৃক আমন ধান বীজের সংগ্রহ মূল্য বাজার মূল্যের তুলনায় কম নির্ধারণ করার প্রতিবাদে ও মূল্য বৃদ্ধির দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমন্বিত চাষি ফোরামের ব্যানারে গতকাল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ বিএডিসি‘র অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচীতে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ শতাধিক চাষি অংশ গ্রহণ করে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও বিএডিসি‘র সমন্বিত চাষী ফোরামের আহব্বায়ক ফাতিউল বারি তাজু, সদস্য নজরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, শাহিনুর রহমান, এমদাদুর রহমান, আবু হোসেন, নুর ইসলাম, এন্তাজুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, আমন ধানবীজের সংগ্রহ মূল্য প্রতি কেজি (প্রত্যায়িত/মানঘোষিত ) ৩৯ টাকা থেকে ৪৫ টাকা করতে হবে। অন্যথায় চাষিদের ধান ফেরত দিতে হবে বিএডিসিকে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসি অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, কন্ট্রাক গ্রোর্য়াস ও আপদ কালীন বীজ মজুদ কেন্দ্র মোট তিনটি জোনের আওতায় ৫শতাধিক চুক্তিবদ্ধ চাষির মাধ্যমে ধান, গম ও ভুট্রার বীজ উৎপাদন করে থাকে বিএডিসি। বীজ সংগ্রহ করার পরে বিএডিসি বীজের মূল্য নির্ধারণ করার কারণে অনেক সময় লোকশানের মুখে পড়তে হয় চাষিদের।

চুক্তিবদ্ধ আমন ধানবীজ চাষিরা বলেন, করোনা কালিন সময়ে সরকার চাষিদের বিভিন্ন ভাবে প্রর্নোদনা দিচ্ছে। তার পরেও সরকার সাধারণ চাষিদের মাধ্যমে এক ছটাকও ধান, চাল সংগ্রহ করতে পারেনি। আমন ধান কাটা থেকে শুরু করে বর্তমানেও বাজারে খাওয়ার ধানের কেজি ৩২-৩৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে বাজারে আমন ধানের বাজার ছিল ২৪-২৫ টাকা আর বিএডিসি চাষিদের দিয়েছিল ৩৭ টাকা। করোনা কালে চাষিদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বাজারে বেশি দাম থাকার পরেও বিএডিসি কম মূল্য নির্ধারণ করায় চাষিরা বীজ উৎপাদনে অনাগ্রহী হচ্ছে।

বিএডিসি সূত্রে জানাযায়, এ বছর ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮০, ব্রি ধান ৮৭ জাতের আমন ধানবীজের সংগ্রহ মূল্য (প্রত্যায়িত/মানঘোষিত) নির্ধারণ করেছে ৩৯ টাকা। আর চাষিদের দাবী ৪৫ টাকা প্রতি কেজি।

(আই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১)