আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : অভাবের সংসারে অর্থাভাবে দিনমজুর পিতাকে চিকিৎসা করাতে না পারায় সে এখন মৃত্যু পথযাত্রী। তার পিতার মতো যেন আর কাউকে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় থাকতে না হয়, সেজন্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান জান্নাতুল ফেরদাউস।

মায়ের সামান্য উপার্জিত অর্থে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে সে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে মেধাবী জান্নাতুল ফেরদাউসের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। এ কারণে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নও ভেস্তে যেতে বসেছে।


বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের আক্তার হোসেন মোল্লার কন্যা জান্নাতুল ফেরদাউস। সে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের এস.এম বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। তার মা বিউটি বেগম জানান, তার স্বামী উপজেলা সদরে সবজি ও কাঁচামাল বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালাতেন। তার স্বপ্ন ছিলো দু’ছেলে-মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার।

গত কয়েক বছর থেকে তিনি দুরারোগ্যব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় শষ্যাশয়ী রয়েছেন। তিনি আরো জানান, স্বামীর স্বপ্ন পূরণের চেষ্ঠায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে সংসার খরচসহ সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছেন। ফলশ্র“তিতে তার কন্যা জান্নাতুল ফেরদাউস এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্ব অর্জণ করেছে।

কান্নাজড়িত কন্ঠে বিউটি বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের মহানুভব সমাজপতিদের সহযোগীতা পেলেই তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চিকিৎসক হতে পারবে। নতুবা এখানেই একটি স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।


(টিবি/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৪)