স্টাফ রিপোর্টার : অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকার শিক্ষকদের করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, শিক্ষকরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে ১৭ মে’র মধ্যে টিকা দেওয়া হবে। আর ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, শিক্ষকদের ভ্যাকসিনেটেড করা। শিক্ষকরাতো বেশিরভাগই ৪০ (বয়স) এর ঊর্ধ্বে আছেন। কাজেই ভ্যাকসিন এমনিতেই পেয়ে যাবেন। আমরা এখন তাদের প্রায়োরিটির সঙ্গে ভ্যাকসিন দিয়ে দেবো।

জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো। ১৮ বয়সের নিচে যারা আছে তাদের তো দিতে পারবো না। আর ১৮ বছরের উপর যারা আছে তাদের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত আসবে আমরা সেটি ফলো করবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পাইলটদেরও আগে দিয়ে দিতে বলেছেন উনি (প্রধানমন্ত্রী)। তারপর ক্রু যারা আছেন, যারা পোর্টে কাজ করেন তাদেরও ভ্যাকসিন আগে দিয়ে দিতে বলেছেন এবং তারাও পেয়ে যাবেন। এ বিষয়গুলো নজরে নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি।

ভ্যাকসিন পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৯ জন মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। একইসঙ্গে এ পর্যন্ত (২৭ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) দেশে মোট ২৩ লাখ আট হাজার ১৫৭ জন মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন এবং নারী সাত লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন।

ভ্যাকসিনের নতুন ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশই আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আগের ৭০ লাখ ভ্যাকসিনের পাশাপাশি গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় আরো নতুন ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।

দেশে চলমান চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশের শিক্ষক, পাইলট, জাহাজের ক্রুসহ অন্যান্য ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১)