শেরপুর প্রতিনিধি : পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চরপক্ষীমারী ও কামারের চর ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত প্লাবিত হয়েছে। ২৫ আগস্ট সোমবার কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নং চর এলাকায় ১৩ টি পরিবারের ঘরবাড়ী ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবীব জানিয়েছেন।

চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর গ্রামেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের ফলে শতাধিক পরিবারের লোকজন ভিটেমাটি ফেলে ঘরবাড়ী সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, সোমবার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে ১৫ দশমিক ৮০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন সোমবার বন্যা কবলিত এবং ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর ও কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নং চর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি অসহায় ২৩২ টি পরিবারের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেছেন। প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন এবং ম্যাচ ও মোমবাতি বিতরন করেছেন। এসময় সদর ইউএনও আইরীন ফারজানা, ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী, হাবীবুর রহমান হাবীব, জেলা ত্রান ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা তার সাথে ছিলেন।

(এইচবি/এটিআর/আগস্ট ২৫, ২০১৪)