সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : আবাদ করা ক্ষিরা ক্ষেতের উপর দিয়ে অপ্রয়োজনীয় বেড়ি বাঁধ নির্মান কাজ বন্ধের দাবীতে কেন্দুয়ায় ক্ষিরা চাষিরা বিক্ষোভ ও সামবেশ করেন। 

মঙ্গলবার বেলা ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত শতাধিক কৃষক জালিয়ার হাওরের পশ্চিম দক্ষিন কোনে বরনী নদীর তীরে এ বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হন।

বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষকরা বলতে থাকেন, আমরা মরব তবুও আমাদের ফসলী জমি নষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় বেড়ি বাঁধ নির্মান করতে দেব না। তারা আরো বলেন, এই বেড়ি বাঁধ নির্মান হলে এক দিকে প্রতিবছর ক্ষিরা উৎপাদন বন্ধ হয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হবেন অপর দিকে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বোরো আবাদও ব্যাহত হবে।

মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান নোমানের প্রচেষ্ঠায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নির্মান কাজ কয়েকদিন আগে শুরু করা হয়। কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর ও বানিয়াগাতি গ্রামের ক্ষিরা চাষিদের ক্ষেতের উপর দিয়ে বেড়িবাধ নির্মান কাজ শুরু করার ফলে শত শত কৃষক একত্রিত হয়ে ৪/৫ দিন আগে ওই রেড়ি বাঁধ নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে দুই উপজেলার জনগনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ৪ টায় কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার ও মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এসময় মোজাফরপুর গ্রামের কৃষকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা প্রশাসনের নিকট দাবী করে বলেন, এই বেড়ি বাঁধ নির্মান বোরো ও ক্ষিরা ফসলের দুটিরই ক্ষতি হবে। এই বেড়ি বাঁধ নির্মান বন্ধ না হলে তারা এখানে অনশন করার ঘোষনা দেন।

এসময় মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আলম মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান নোমান বেড়ি বাঁধ নির্মাণের সুফল কুফল নিয়ে বাক যুদ্ধে লিপ্ত হন।

জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, এই বেড়ি বাঁধ নির্মান হলে কেন্দুয়া উপজেলার শত শত কৃষকের মাথায় হাত পড়বে।

বোরো ও ক্ষিরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে এদিকে নায়েকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, বেড়ি বাঁধ নির্মাণ হলে বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যাবে না।

দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষকদেরকে শান্তনা দিয়ে বলেন, এ বিষয়টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১)