সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে, জনদুর্ভোগ চরমে
দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী দুকুল ছাপিয়ে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের দেড়শতাধিক গ্রাম সহ দুর্গাপুর পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে।
টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে সোমবার সকাল থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে, পৌরসভা সহ শিবগঞ্জ বাজার ও কামারখালি বাজারের পানি নেমেছে ।
গ্রামগুলোর বাড়ীঘরে পানি ঢোকে পড়ায় বানবাসী মানুষেরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কলাগাছের ভেলা নৌকা সহ যে যে ভাবে পাড়ছেন পোশা প্রানিসহ নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। রবিবার রাতে জেলা প্রশাসক ড.তরুন কান্তি মজুমদার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।রাতেই উপজেলা প্রশাসন জরুরী ভিত্তিতে ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দুর্গত এলাকাতে উদ্ধার তৎপরতায় টহলে বের হয়েছে।
চন্ডিগড় ইউনিয়নের কেরনখলা বাজারের বিমল কৃষ্ণ রায়,আবু জাফর,খোকন মিয়ার ৪টি চৌচালা ঘর বন্যার পানিতে ভেংগে পরে,চন্ডিগড় কেরনখলা রাস্তা প্রায় আধা কিঃমিঃ ভেংগে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেনকী চন্দ্রকোনা, মাসকান্দা, জাঙ্গালিয়াকান্দা, শ্যামনগর রাস্তা ভেংগে যায় এবং প্রায় সবক‘টি ইউনিয়নের পুকুরগুলোর মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। বিরিশিরি ইউনিয়নের দাখিনাইল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কমলরানীর দিঘীর পাড় ভেংগে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
উপজেলার পৌরসভা সহ সবক‘টি ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান এখনও পানির নীচে তলিয়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান ৭টি ইউনিয়নে ১ টন করে জি,আর ও পৌরসভায় ২ টন জি,আর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বানভাসী মানুষের চাহিদার তুলনায় ত্রাণ সামগ্রী অত্যন্ত অপ্রতুল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি বিপদ সীমার ৬০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
(এনএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৪)