ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : বৃহত্তর নোয়াখালী ছাড়িয়ে সুবর্ণচরের সবজি এখন দেশের রাজধানীসহ প্রায় প্রতিটি জেলায় রপ্তানী হচ্ছে। দেশের প্রতিটি গনমাধ্যমে সুবর্ণচর স্থান করে নিয়েছে। সুবর্ণচরে এমন কৃষিতে বিপ্লবের পেছনে রয়েছে এ অঞ্চলের চাষীর কঠোর পরিশ্রম আর সরকারী ও বেসরকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা। নবগঠিত এ অঞ্চলে কৃষিতে রয়েছে সাফল্যগাঁথা গল্প।

সোমবার (২২ শে ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন নারী চাষিদের সাথে। আমেনা বেগম নামে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সোলেমান বাজার এলাকার এক নারী জানান তার সফলতার কথা। ১একর জমিতে টমেটো চাষের উদ্যোগ নেন তিনি। বিজলী-১১ জাতের এ টমেটো চাষে তার খরছ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। কোনরকম কিটনাশক ব্যাবহার ছাড়াই টমেটো চাষ করেছেন তিনি। বাজার দর ভালো থাকলে আশা করছেন তিন লাখ টাকার বেশি টমেটো বিক্রি হবে তার।

একই এলাকার আরেক টমেটো চাষি জোসনা বেগম জানান, এক একর জমিতে টমেটো চাষে তিনি খরচ করেছেন ৫০ হাজার টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ফেরোমন ফাঁদ আর হলুদ ফাঁদ ব্যাবহার করায় কোন কিটনাশক ব্যাবহার করতে হয়নি তার। প্রতি কেজি পাইকারী ৪০/৪৫ টাকা করলে তার ফলন বিক্রি হবে তিন লাখ টাকার বেশি। জোসনা বেগম জানান, দেশী টমেটোর আগে এর ফলন আশায় ভালো দাম পাওয়া যায় ।

সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁঞার হাট এলাকার টমেটো চাষি মো.হেলাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরকারী কোন সহযোগিতা ছাড়াই তিনি টমেটো চাষ শুরু করেন। ২একর জমিতে টমেটো চাষ করতে তার খরচ করতে হয়েছে লাখ টাকার মতো । ভালো পরিবেশ আর ন্যায্য দাম পেলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা টমেটো বিক্রি করতে পারবেন তিনি।

এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ জানান, গ্রামিন পর্যায়ে কৃষকদের বিনামুল্যে উন্নত বিজ প্রদান এবং কিটনাশকমুক্ত ভালো ফলন উৎপাদনে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে। এতে কৃষকরা ভালো ফলন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি জানান, সুবর্ণচরের কৃষকরা কঠোর পরিশ্রমী, নিয়মিত সঠিক পরামর্শ পেলে সুবর্ণচরের কৃষকরা কৃষিতে বিপ্লব সাধন করে দেশের কৃষি পণ্যের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১)