ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর অবৈধ বালুমহাল বন্ধে এবং পদ্মার চরের ফসলী জমির মাটি কাটা বন্ধে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের নেতৃত্বে থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদসহ থানা পুলিশ অবৈধ বালুমহাল ও পদ্মা নদীর চরের ফসলি জমির মাটি বিক্রি বন্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।

ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মাটি বোঝাই তিনটি ট্রাকটর ও ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো ট্রাক্টর চালক রিপন (৩৩) এবং নিরব হোসেন (১৬)। আরেকটি ট্রাক্টরের চালক ট্রাক্টর ফেলে পালিয়ে গেছে। তবে ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারা বলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অবৈধ বালুমহাল ও মাটি কাটা এবং পরিবহন বন্ধে উদ্যোগ গ্রহন করেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে কিছু বালু ব্যবসায়ী লাভবান হচ্ছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। চরের ফসলী জমি বিনষ্ট করে মাটি কেটে অবৈধ ইটভাটায় সরবরাহ হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা দন্ডণীয় অপরাধ। তাই মাটি, বালু ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অববস্থাপনা বন্ধ করা দরকার জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যেহেতু বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ রয়েছে, সেহেতু পুলিশ বিভাগই আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

প্রসঙ্গত: প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঈশ্বরদীর পদ্মা নদী তীরবর্তি বেশ কয়েকটি বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং পদ্মা নদীর চরের ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চলছিল। ঈশ্বরদী থানাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, লালনশাহ সেতু , হার্ডিঞ্জ ব্রীজ সহ পদ্মা নদীর তীর সমুহ হুমকির মুখে ফেলে চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে মাটি, বালু উত্তোলন ও পরিবহন করে আসছিলো। এছাড়া লক্ষীকুন্ডার অর্ধ শতাধিক অবৈধ ইটভাটার জন্য চরের ফসলী জমি বিনষ্ট করে মাটি কাটা হচ্ছে।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১)