মাদারীপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান (এমপি) বলেছেন,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাড়াতে ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে সিনেমা নির্মাণ করছে সরকার। কোন বাঙালি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ না করে; তাহলে সে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ভাবতে পারে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বুকে ধারণ করতে হবে। এজন্য দেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অনেক আগেই এই উদ্যোগ নেয়া হলেও নানাভাবে বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। তবুও হাল ছাড়েননি সরকার প্রধান। 

শুক্রবার মাদারীপুর সার্কিট হাউসে খ.ম. খুরশীদ নির্মিত ও পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘বাংলার দর্পণ’-এর মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শাজাহান খান বলেন, বাঙালি নৌ-কমান্ডোরা ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্টে দেশের খুলনা, মংলা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর এই ৪টি নৌবন্দরে একযোগে পাক সেনাদের ২৬টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। এই অপারেশনের নাম ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’। অপারেশনে একজনও বাঙালি মারা যায়নি। নৌ-কমান্ডোদের সকল সদস্য সফল অপারেশন করেছেন। এই ইতিহাস অনেকেই জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাসকে জাগ্রত করতেই ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে সিনেমা নির্মাণ করা হচ্ছে।

পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘বাংলার দর্পণ’-এর মহরত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেবতি মোহন সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক ও নাট্যকার খ.ম. খুরশীদসহ ‘বাংলার দর্পণ’-চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরা।

বাংলার দর্পন ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন খ.ম. খুরশীদ এবং প্রযোজনা এ-ওয়ান টেলিমিডিয়া। ছবিটি পরিবেশনা করছেন মানবাধিকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমরা মানবতার গান গাই।

(এ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১)