আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : নিজের কর্মদক্ষতা ও ন্যায়পরায়ণ ব্যবহারে জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাংশার হাবাসপুর ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক মানুষের হটাৎ করেই ছুটে আসা থানায়। কারণ একটাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেনকে কৃতজ্ঞতা ও নিজেদের ভালোবাসার জানান দেওয়া। 

এসময় অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বলেন, সিফাত হত্যা কান্ডে যতটুকু সফলতা এসেছে তা সবই আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা এবং আমার সহকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য। আর আপনাদের পাশে থাকা এবং আমাদের প্রচেষ্টায় আশা রাখছি এর বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতার করে এতে পূর্ণতা ফিরিয়ে দেব। তবে আমি শুধু সিফাত হত্যার ব্যাপারে নয় সহকর্মীদের সহায়তা নিয়ে পাংশাবাসীকে সর্বত্র আইনি সেবা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছি। এভাবেই আমার জীবনের বাকী সময়টুকু মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চায়।

পাংশা থানায় যোগদানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ন্যায় নিষ্ঠার সাথে নিজের কর্মযজ্ঞেই বেশী সময় কাটিয়েছেন। তাই পাংশার মানুষের কাছে তিনি অল্প সময়েই হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় একজন মানুষ। পাংশার হাবাসপুরে সিফাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল দুই আসামি গ্রেফতার ও মামলাটিকে সঠিক পথে পরিচালনা করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন ওসি সাহাদাত।

ওসির সাথে দেখা করতে আসা হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারিপাড়া গ্রামের একজন গ্রামবাসী বলেন, সাহাদাত হোসেন একজন সৎ ও দক্ষ অফিসার। তার দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতাই তাকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিকরে পৌঁছে দেবে। থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমার মতো এখানের হাজারো সেবাভোগী মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। যে কারণে এখানের মানুষও তাকে আপন করে নিতে পেরেছে।

দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে পুলিশের কাছে আসতে সাধারণ মানুষের মধ্যে জড়তা কাজ করে। কিন্তু থানায় যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের কাছাকাছি এসেছেন ওসি সাহাদাত। তার বন্ধুসুলভ আচরণে এখন অনেকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। খোলামনে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। তিনিও পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১)