আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা : দেখা হওয়ার পর থেকে শুধু একে অপরকেই জেনেছেন, বুঝেছেন— ভালবেসেছেন। সে ভালবাসা এমনই ছিল যে এক জন পৃথিবী থেকে যাওয়ার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই অন্য জনও তাঁর পথ ধরলেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায় ওহাইওতে। ৭০ বছরের বিবাহিত জীবনের শেষ হওয়ার একই সঙ্গে প্রায় শেষ হল হেলেন ও কেনেথ ফেলামলি-র জীবনকাল।

 

 

 

তাঁদের মেয়ে লিন্ডা জানান, 'মা যখন চলে গেলেন, আমরা জানতাম বাবাও আর থাকবেন না। তাঁরা একে অপরকে এতোটাই ভালবালতেন, যে এই নব্বই পেরিয়েও রোজ সকালে একে অপরের হাত ধরে প্রাতরাশ করতেন। এ ঘটনা আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি।'

তিনি আরও বলেন, 'মা মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর বাবা আমাদের আট ভাইবোনদের ডেকে শুধু একটাই কথা বললেন, "তোমাদের মা আর নেই!"। ঠিক পরের দিন সকালেই বাবা চলে গেলেন। তিনি মানসিকভাবে তৈরি হয়েই ছিলেন।'

ছেলে জিম মা-বাবার অদ্ভুত প্রেম কাহিনী শোনাতে গিয়ে বলেন, 'কিশোর বয়সের একটা ঘটনা বাবা আমাদের বলতেন। আলাদা শুতে হবে বলে, ফেরির একটি বার্থেই দু'জনে রাত কাটিয়েছিলেন। এত গভীর ছিল তাঁদের প্রেম। ১৯৪৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাবা যখন মাকে নিয়ে পালিয়ে যান তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১। তিনি রেলের সামান্য কর্মচারি ছিলেন। পরে নাশপোর্ট পোস্ট অফিসে চাকরি পান। তাঁরা দু'জনেই রবিবার চার্চে গিয়ে স্বাক্ষরতা প্রসারের কাজ করতেন। ১৯৮৩ সালে অবসরের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বাসে করে ঘুরে বেরিয়েছেন দু'জনে। কারণ বাবা প্লেনে চড়তে ভয় পেতেন। শেষ দিকে স্বাস্থ্য ভেঙে গেলেও শুধুমাত্র ভালবাসাই তাঁদের বাঁচিয়ে রেখেছিল।'

(ওএস/এইচ/এপ্রিল ২১, ২০১৪)