আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাঘাটায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা। সাঘাটা থানায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নিজ বসতবাড়ীতে ছড়িকাঘাতে হত্যার ঘটনায়  রাত ১২টার দিকে হত্যা মামলা করেন নিহত আতিকা সুলতানার বাবা ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আমিনুল ইসলাম। আসামিরা হলেন আতিকার মা হামিদা বেগম ও ভাই মো. তানজিল। আতিকার মা হামিদা বেগম কে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।  

হত্যার স্বীকার কলেজছাত্রী আতিকা (১৭) ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আমিনুল ইসলামের কন্যা।

বাবা আমিনুল জানান,মেয়েটি উদয়ন কলেজে ইন্টারমেডিয়েটে লেখাপড়া করতো সে ছাড়া তার আট বছরের আরেকটি মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে নামাজে যান। তারপরই এ ঘটনা ঘটে। তার দাবি, তার বড় ছেলে তানজিলই বোনকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমার ছেলেরই কারবার ভাই। এই পাগল। মা হয়ে তো সন্তানকে খুন করতে পারে না। ‘আমি নামাজে গেছিলাম। মসজিদ থেকে বের হয়েই শুনতেছি মেয়ে আর নাই’বাড়ীতে এসে দেখি এ অবস্থা ।

সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আতিকার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে আতিকার গলা কেটে ফেলেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নয়ন কুমার জানান, এ ঘটনার পরই হামিদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। মামলার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে তানজিল পলাতক।

(এ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১)