নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতা ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুরও মারপিটের পৃথক চারটি মামলায় বিএনপির ৭২ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত।

সোমবার পৃথক ওই চারটি মামলার আসামীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লিয়াকত আলী মোল্লার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। শুনানী শেষে বিচারক তাদের জামিন না-মঞ্জর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

আত্মসর্মপনকারী আসামীদের সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আদালতের পেশকার ১২১ জনের কাস্টডি দিলেও কোর্ট হাজত খানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৭২ জনকে বুঝে পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।


আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ মার্চ জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি প্রার্থী অধ্যক্ষ একরাম আলম জয়ী হন। ফলাফল ঘোষনার পর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ওই রাতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ১৭ টি বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী মোহাম্মদ গুলজার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানকে প্রধান আসামী করে ২১ জনের নামে, জহির খামারু বাচ্চু বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে , তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাজেদুর রহমানসহ ৩৫ জনের নামে, শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে আব্দুল মান্ননসহ ৪০ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে। আদালতের পেশকার মানিক কুমার জানান, চারটি মামলায় তিনি মোট ১২১ জনের জামিনের আবেদন পেয়েছেন। ওই ১২১ জনের জেল কাস্টডি দিয়েছেন। তবে একই আসামী একাধিক মামলায় থাকায় মোট আসামীর সংখ্যা ৭২ জন। ফলে আসামীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।


আসামীদের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি মোট ৭৯ জন আসামীকে হাজির করে জামিনের আবেদন করেছেন।


অপরদিকে কোর্ট হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানান, তিনি মোট ৭২ জন আসামী বুঝে পেয়েছেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়।
নাটোর কোর্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজিবুল ইসলামও ৭২ আসামীকে বুঝে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


এদিকে সোমবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হাজির হওয়া আসামীদের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি আদালতের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে।


(এমআর/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৪)