স্টাফ রিপোর্টার : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি) এর চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু।

আজ ১ মার্চ ২০২১ সোমবার সংবাদ পাঠনো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিজানুর রহমান মিজু বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির পাঁচ দিনব্যাপী ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনাসভা শেষে শুক্রবার রাতে এই সিদ্ধান্ত জানায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা হল বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিঃসন্দেহে আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন। আর জাতির এই গৌরবজনক অর্জনের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।”

তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এ কৃতিত্ব সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের।’ কিন্তু সবার সম্মিলিত এ প্রচেষ্টা সফল হয়েছে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। ২০০৮-০৯ বছরে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা ৩৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ বছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫.৫৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮-১৯ বছরে তা ৪০.৫৪ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৭.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪.০৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০১ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮.৯ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার ছিল ৩৪.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৫ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার ১০.৫ শতাংশে। ২০০৯-১০ সালে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ছিল পাঁচ হাজার ২৭১ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে বেড়ে ৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সবই অর্জিত হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।”

জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি) চেয়ারম্যান আলো বলেন, “পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ অনেক ছোট বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মিত হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা বজায় থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উন্নত-স্বনির্ভর-সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।”

(পিআর/এসপি/মার্চ ০১, ২০২১)