স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনসহ সকল অফিস ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, আইপিই, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থদের একাডেমিক সেশন শেষ হয়ে গেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয় নি। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একাডেমিক সূচি অনুসারে গত ২০ জানুয়ারী পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়। যেখানে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্ব-শরীরে পরীক্ষা শুরু হওয়া কথা ছিলো। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিনন্ডিকেট কমিটির এক সভায় এ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

যেহেতু শিক্ষার্থীরা পূর্বে চার বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ডুয়েটে ভর্তি হয়। সে অনুসারে পরবর্তীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করতে আরো চার বছর লাগে। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে তিন বছর বেশি লেগে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা কমে যায়। তাই আগামী দুই মাসের মধ্যে ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা শেষ করতে না পারলে অনেকেই সরকারি চাকরীতে আবেদনের সুযোগ হারাবে।

তারা আরো জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষিত নিদর্শেনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ বিবেচনা সাপেক্ষে ২০১৩ সালের এসএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের স্থগিতকৃত পরীক্ষা সমূহ পুন:গ্রহণের উদ্যোগ নেয় হয়। সেখানে ২০১০ সালের এসএসসি পাসকৃত ডুয়েট শিক্ষার্থীদের ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তাই তাদের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে ডুয়েটের উপাচার্য ড. মো: হাবিবুর রহমান জানান, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলাচনা চলছে। এখনই কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে, চলতে থাক। সকল বিষয়ে বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(এস/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২১)