ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পদ্মানদীর ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর, দাদপুর, কামালপুর ও বিলকেদা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালি ও মাটি চুরি করা একটি চক্রকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পৃথক পৃথক অভিযানে গত কয়েকদিনে বালি ও মাটি চোর দায়ের ৯ জন চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৫টি ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক, একটি ফিটবাডির ট্রাক, ২টি ট্রাক্টর ও একটি এস্কেভেটর (ভেক্যু)। একই সঙ্গে দায়ের করা হয়েছে পৃথক চারটি মামলা। আসামি করা হয়েছে বালি ও মাটি চুরি চক্রের ১০ জনকে। এসব মামলায় আরো অজ্ঞাত হিসেবে পলাতক আসামি করা হয়েছে ১৫ জনকে।

বালি ও মাটি চুরি চক্রের পলাতক আসামিরা হলেন মসলেম উদ্দিন, জামিরুল ইসলাম, হিরাজ, জনি, সানা মন্ডল, রাকিব মন্ডল, জামসেদ সরদার, আজমাল মল্লিক, সুজাউল ইসলাম ও জুলমত হোসেন। আর চুরিকৃত বালি ও মাটি পরিবহনের কাজে জড়িত আটক পরিবহন চালকরা হলেন বাদশা সরদার, শাহাদত হোসেন, এনামুল শেখ, সবুজ আলী, রিপন, নিরব, আমির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও মাসুদ রানা ভোলা।

বুধবার সকালে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম ও দায়েরকৃত মামলার সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

পাকশী ফাঁড়ির পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, পদ্মানদী থেকে বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে রাত জেগে বিভিন্ন রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে চোর চক্রকে আটক করা হচ্ছে। বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ এর ১৫ (১) ধারাসহ ৪৩১/৩৪ পেনাল কোড ধারায় অপরাধ। যা পুলিশ নিজেই অভিযান পরিচালনা, আটক ও মামলা প্রদান করতে পারে। তাই পদ্মানদী থেকে বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটক ও মামলা দিয়ে অপরাধীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চালকদের আটকের সময় পরিবহনের কাগজপত্র না দেখাতে পারায় সেগুলো জব্দ করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ও জনগণের তি করে অবৈধভাবে আবাদি জমি ও পদ্মানদী থেকে বালি ও মাটি চুরি করে বিক্রয়ের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না। পদ্মানদী ও ফসলি জমি থেকে চুরি করে যে বা যারাই বালি ও মাটি কেটে বিক্রয় করুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পরিবহনের চালকসহ মূল হোতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কেউ গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পদ্মা নদী থেকে বালি ও মাটি চুরি প্রতিরোধে পুলিশী অভিযান অব্যহৃত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২১)