ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবিলীতে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে শত বছরের চলাচলের বাড়ীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানায়, ব্যারিকেড দেওয়া বাড়ীর দরজা দিয়ে চলাচল করেছে ভিকটিম আবদুল মান্নানের বাপ দাদাসহ আরও অনেকে। শত বছর ধরে চলাচল করে আসা বাড়ী পথের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগি সহ এলাকাবাসী।

ঘটনাটি ঘটেছে চর জুবিলী ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ড চর জুবিলী গ্রামের বজু মেস্ত্রীর বাড়ীতে।

ভুক্তভোগি অসহায় মোঃ আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, 'প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী মহল হওয়ায় বিবাদমান চলাচলের রাস্তার বিষয়ে আদালতের স্থীর আদেশ থাকা শর্তে ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাঁতের আঁধারে জোর পূর্বক চলাচলের পথটি টিনদিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় ।

প্রতিবেশী আবদুল খালেক বাচ্চু, নুর মোহাম্মদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড আঃলীগ সভাপতি আবদুল হক বলেন, ব্যারিকেড দেওয়া পথটি প্রায় ৭০ বছরের পুরানো, আমাদের জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি এটি ভিকটিম আবদুল মান্নানদের বাড়ীর দরজা। তারা আরও বলেন,সামাজিক সালিশের সিদ্ধান্ত ছিল ; বাড়ীর দরজা পূর্বের ন্যায় বহাল তবিয়তে থাকবে বা পরিমাপ পরবর্তী উভয় পক্ষের সম্মতিতে ভিন্ন সিধান্ত নেয়া হবে।

ইতিমধ্যে ভুক্তভোগি আবদুল মান্নানএর পক্ষে দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন বিলকিস আক্তার। মামলা নং ৬৪/২১। আদালত মামলার বিবরণী পর্যালোচনা করে বিতর্কিত দরজায় উভয়পক্ষকে সকল ধরণের কার্যক্রম স্হগিতের আদেশ দেন ১লা মার্চ ২০২১। অপরদিকে আবদুল হালিম ওরফে আবদুল হাই এর ছেলে জামাল উদ্দিনকে আদালতের নোটিশ দেওয়ার পরেও আদেশ উপেক্ষা করে পথ বন্ধ করে দেয় জামাল গংরা।

ভিকটিম আবদুল মান্নানের দাবি চলাচলের রাস্তার জমিটুকু আমি ওয়ারিশ ও খরিদসূত্রে ১০ শতাংশের মালিক হয়।

অপরপক্ষে জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের বসতঘরের একেবারে নিকটে চলাচলের পথ হওয়ায় এবং নারী -শিশুদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে পথটি বন্ধ করে আমাদেরই জমি দিয়ে আলাদা পথ করে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে চর জব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক খন্দকার বলেন, রাতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিম অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এস/এসপি/মার্চ ০৩, ২০২১)