আবীর আহাদ


একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবীর আহাদ বলেছেন, উনিশশো একাত্তরে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাত মার্চের বক্তব্যের তাৎপর্য অনুধাবন করেছিল বলেই তারা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আক্রমণের তাৎক্ষণিক জবাব দিতে সর্বাত্মক এক রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল । সেদিনের ঘোষণাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র । সেই মূলমন্ত্রে দেশের সিংহভাগ মানুষও অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিল । একাত্তরের সাত মার্চের ভাষণ আজও সমান মহিমায় ভাস্বর । এখনো আমরা মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ায় অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই অবগাহন করছি এবং সাত মার্চের তাৎপর্য খুঁজেই চলেছি ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে আবীর আহাদ একথা বলেন । তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বাঙালির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ প্রধানতম ঘটনা হলেও সেই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা আমাদের জাতীয় সংবিধানে স্থান পায়নি !

অপরদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্ব ম্লান হয়ে যাচ্ছে । মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা শব্দদ্বয় আজ অবমূল্যায়িত হতে চলেছে ! এ থেকে মুক্তি লাভের লক্ষ্যে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । এ-প্রক্রিয়ায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসিক্ত সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা কামনা করছি । পাশাপাশি বহুধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সংগঠনগুলোকে একটা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরমে সমন্বিত করার যে প্রয়াস আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, সেই প্রয়াসকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সবার সমর্থন প্রত্যাশা করছি ।

লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।