ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক সন্তানের জনক, এসময় এলাকাবাসীর গণধোলাইের শিকার হন পশ্চিম চরবাটা গ্রামের জাফর উল্যাহর পুত্র এক সন্তানের জনক মোঃ রফিক উল্যাহ(২৯)।

গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে প্রথম সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় পরে সেখান থেকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি ৫ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের মানিক মেম্বারের বাড়ীতো।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকাবাসী বলেন, রাত সাড়ে ১০ টার সময় মানিক মেম্বারের বাড়ীতে শৌর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে আসি তখন জানতে পারি ঐ বাড়ীর এক গৃহবধূর সাথে মোবাইল ফোনে দির্ঘদিন আলাপচারিতা হতো রফিকের সে সূত্র ধরে রাতের অন্ধকারে রফিক দেখা করতে এসে পরিবারের সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে পরে প্রতিবেশীরা এসে রফিককে গণধোলাই দেয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতেন ঐ গৃহবধূর বাবা কামালের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন"আমার মেয়ে নির্দোষ আমার মেয়ের জামাইয়ের বিবাহযোগ্যা বাগনি রয়েছে সে রফিকের সাথে প্রায় আমার মেয়ের মোবাইল থেকে কথা বলতো ঘটনার দিন আমার মেয়ের মোবাইল থেকে সে রফিকের সাথে ফোনে কথা বলে রফিক বাড়ীতে প্রবেশ করার পর বাড়ীর সদস্যরা আঁচ করতে পেরে রফিককে ধরে মারধর করে এবং ঐ সময় রফিক আমার মেয়ের জাসাইয়ের বাগনিকে বিবাহ করবে বলে কাজি ডেকে আনার জন্য সবার সম্মূখে বলতে থাকে, এখন তারা বিবাহযোগ্যা মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য আমার মেয়েকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

গণধোলাইয়ের শিকার রফিকের বর্তমান স্ত্রীর বড় ভাই বলেন "২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারী রফিকের সাথে আমার ছোট বোনের বিয়ে হয় বিয়ের পর থেকে সে বিভিন্ন নারীর সাথে ফোনে কথা বলতো এতে আমার বোন প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতো এবং রফিক মোটা অংকের টাকা যৌতুক না দিলে সে আমার বোনকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয় এরকম একাধিকবার আমার বোনকে মারধর করার পর আমার বোন বাদী হয়ে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা করে। মামলা নং ২০৬/২০২০। রফিক এক সন্তাকের জনক সে তার শিশু জন্মের পর থেকে এখনো কোন খোঁজখবর নেয়নি। সে একজন লম্পট চরিত্রহীন।

পরকিয়ার অভিযো ওঠা গৃহবধূর স্বামী বেলাল ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন "আমার স্ত্রীর সাথে রফিকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক চালে আসছিলো, ঘটনার দিন সে আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার সময় সব কথা আমার বোন শুনে নেয় তখন আমাদের পরিবারের সদস্যরা রফিককে ধরার জন্য ঔৎ পেতে থাকে তখন রফিক চুপি চুপি এসে আমার স্ত্রীর থাকার রুমে প্রবেশ করার পর আমার ছোট ভাই বাহির থেকে দরজা আটকে দেয়। তখন রফিকে বাঁচানোর জন্য দরজা খুলে দিতে আমার স্ত্রী ও রফিক ঘরে থাকা আমার বাবাকে মারধর করে, পরে আমার বাবার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রফিককে গণধোলাই দিয়ে আমার বাবাকে উদ্ধার করে, এর আগেও রফিক আমার স্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য একাধিবার আমার বাড়ীতে এসেছিলো। সেটা আমার স্ত্রীর নিজ মুখে স্বিকার করেছে"।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রফিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চরবাটা ভূঁইয়ার হাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন'এ বিষয়ে আমাদের কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

(এস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০২১)