রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল থানা পুলিশ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠান বর্জন করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মিরা। রবিবার বিকেলে থানা চত্বর মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও সাংবাদিকের সাথে থানা পুলিশ অসাদচরণ করায় তারা পুলিশের এ অনুষ্ঠান বর্জন করে।

যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বিকেল ৩টায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু করেছে। দীর্ঘ সময় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে থানা চত্বরে বসে থাকে আমাদের সামান্য সন্মানটুকুও তারা জানায় নি। তাছাড়া বসার মত কোন পরিবেশ আমাদের করে দেয়নি। আরেক মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্ত জানান, তারা আমাদের উপস্থিত প্রায় ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে থানা কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেও দু-চারজনকে চা দিয়ে বাকীদের তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও এক-কাপ চা পযর্ন্ত দেয়নি ।
এ জন্য আমরা ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সম্মিলিতভাবে থানা পুলিশের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।

এদিকে নিদির্ষ্ট সংখ্যাক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ দিয়ে তাদেরও অসন্মান করেছে থানা পুলিশ বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের। এ জন্য তারাও থানা পুলিশের অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার জানান, থানা পুলিশ আমাদের নিদির্ষ্ট সংখ্যাক কিছু সংবাদকর্মিদের আমন্ত্রণ জানায়। পরে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের সাথে অজ্ঞাত কারণেই অসদচারণ করে। পরে পুলিশের এ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করি। প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোবারক আলী বলেন,সাংবাদিকরা পুলিশের এ আয়োজন সমগ্রহ দেশে প্রচার করবে। অথচ সাংবাদিকদের সাথেই পুলিশ খারাপ আচরণ করলো। তাই সকল সংবাদকর্মিরা প্রতিবাদের অংশ হিসাবে পুলিশের এ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।

জানতে চাইলে থানা পরিদর্শক(ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, আসলে সামান্য ভুলবুঝা-বুঝির কারণে সাংবাদিকরা এমন করবে এটি আমি ভাবতে পারিনি।

(কেএস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০২১)