আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন ডাচেস অব সাসেক্স ও প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। তিনি বলেছেন, তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং নিয়ে রাজ পরিবার উদ্বিগ্ন ছিল এবং এ ঘটনা দ্বারাই বোঝা যায় কেন তার ছেলেকে প্রিন্স উপাধি দেয়া হয়নি।

অপরাহ উইনফ্রের উপস্থাপনায় রোববার মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসের টক শোতে হাজির হয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। সেখানেই এসব কথা বলেছেন তিনি।

মেগানের মা একজন কৃষ্ণাঙ্গ ও বাবা শ্বেতাঙ্গ। টক শোতে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ব্রিটিশ রাজ পরিবারে বিয়ে করার আগ পর্যন্ত তিনি অতি সরল ছিলেন। কিন্তু সহযোগিতা চেয়েও আদৌ না পাওয়ার পরে তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় এবং নিজের ক্ষতি করার চিন্তাও তিনি করেছিলেন।

মেগান বলেন, ‘ওরা ওকে প্রিন্স বা প্রিন্সেস বানাতে চায়নি, ওর লিঙ্গ কী হবে তা না জেনেই। এটা রীতিবিরুদ্ধ হত আর এ কারণেই পরবর্তীকালে ও নিরাপত্তাও পেত না।’

তিনি বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মাসগুলোও আমার একইরকম ছিল, বারবার ওই কথাগুলোর মধ্যেই আমরা ছিলাম- ‘তোমাকে নিরাপত্তা দেয়া হবে না, এমনকি কোনো উপাধিও না। আর ও যখন জন্মাবে তখন ওর গায়ের রং কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আর কথাবার্তাও চলছিল।”

তবে কে বা কারা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি মেগান। তিনি এ বিষয়গুলো নিয়ে নিজেই চুপ ছিলেন নাকি তাকে চুপ করানো হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মেগান বলেন, ‘শেষেরটি’।

এই বহুল প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎকারটি এমন এক সময়ে এল যখন একদিকে মেগান-হ্যারি এবং অন্য দিকে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের মধ্যে তিক্ত বিবাদ চলছে।

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান সম্প্রতি তাদের রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেছেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)