স্টাফ রিপোর্টার : কস্ট অব ফান্ডের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যে সুদ হার নির্ধারণ করে দিয়েছে তা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রথমে এই সুদ হার কার্যকরের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সময় নির্ধারণ করেছিল বিএসইসি। এখন তা ৫ মাস পিছিয়ে দেয়া হল।

সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায়ের বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

ওই নির্দেশনায় জানানো হয়, স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংক প্রদত্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের বিপরীতে গ্রাহকের নিকট থেকে কস্ট অব ফান্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করতে পারবে। কিন্তু কোনোক্রমেই মার্জিনের সুদ হার ১২ শতাংশের বেশি হবে না।

মার্জিন ঋণের সুদ বা মুনাফার (সার্ভিস চার্জ ইত্যাদিসহ, যদি থাকে) বার্ষিক হার ১২ শতাংশের বেশি হবে না বলে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।

সূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার স্তরে মার্জিন ঋণ দেয়ার নতুন নীতিমালা করে বিএসইসি। এ নীতিমালা অনুযায়ী, ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকাকালীন মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১:১ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব ১ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ টাকা মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০০১-৫০০০ মধ্যে থাকলে ১:০.৭৫ হারে বা গ্রাহকের ১ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ৭৫ পয়সা মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০০১-৬০০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে মার্জিন ঋণ হবে ১:০.৫০। অর্থাৎ গ্রাহক ১ টাকা বিনিয়োগ করে ৫০ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন।

আর ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০০০ পয়েন্টের ওপরে থাকলে ১:০.২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী ১ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)