স্পোর্টস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তুমুল সাড়া পাওয়া ২০২০ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের বর্ষপূর্তির দিন আইসিসি জানাল, ক্রিকেটের বর্তমান সূচি চক্র সম্পন্ন হওয়ার পর, পরবর্তী সূচিতে আরও বাড়ানো হবে নারীদের খেলা।

২০২৬ সাল থেকে শুরু করে এরপর যত নারী বিশ্বকাপ হবে, সেগুলো বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে এবং খেলার সংখ্যাও বাড়বে। নারী ক্রিকেটের বিশ্বায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি সব পরিকল্পনার কথাই ভাবছে আইসিসি। এজন্য আইসিসি ইভেন্টগুলোর ফরম্যাটেও আনা হবে পরিবর্তন।

নতুন ফরম্যাটে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো বিশ্ব মঞ্চে আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। আর এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ঘরোয়া ক্রিকেটেও মনোযোগ দিতে হবে দেশগুলোকে। যা খেলার মানোয়ন্ননে ভূমিকা রাখবে।

আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাওনে বলেছেন, ‘নারীদের খেলার ব্যাপারে পরিস্কার মনোযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। নারী ক্রিকেটের উন্নতি ও বিশ্বায়নের জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ। গত চার বছরে নারী ক্রিকেটের ব্রডকাস্টিংয়ে আমূল পরিবর্তন আনতে পেরেছি আমরা। যা দর্শকদের আরও কাছে পৌঁছে দিয়েছে নারী ক্রিকেটকে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এর ফলও পাওয়া গেছে হাতেনাতে। ২০২০ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রায় ১১শত কোটি ভিউয়ার ছিল। এছাড়া ফাইনাল ম্যাচটিতে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন ৮৬ হাজার ১শ ৭৪ জন দর্শক। যা কি না নারীদের ক্রিকেট ইভেন্টে সর্বোচ্চ উপস্থিতির রেকর্ড।’

আইসিসির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৯ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে ১০ দল এবং ম্যাচ হবে মোট ৪৮টি। ২০২৫ সালের বিশ্বকাপের সূচিতে দেয়া আছে ৮ দল ও ৩১ ম্যাচের টুর্নামেন্ট।

একইভাবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ দলের অংশগ্রহণে ২৩ ম্যাচ হলেও, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে ১২টি দল এবং ম্যাচ হবে ৩৩টি করে।

এর বাইরে ২০২৭ ও ২০৩১ সালের নারী টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপে অংশগ্রহণ করবে ৬টি দল এবং খেলা হবে ১৬টি ম্যাচ।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)