বগুড়া প্রতিনিধি : সরকারি সম্পত্তিতে গড়া বগুড়া পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দীর্ঘদিনের অফিসে হঠাৎ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় অফিস হিসেবে উদ্বোধন! দখলের অভিযোগ সাবেক কাউন্সিলর ও তার সমর্থকদের প্রতি।

জানা যায়, বাংলাদেশের বৃহত্তম পৌরসভা বগুড়া পৌরসভা। বগুড়া পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসটি অতীতে দীর্ঘদিন নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদ অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। পরবর্তি সময়ে অফিসটি পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হওয়ায় ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ‘১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন-এর কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড শোভা পাচ্ছে!

জানা যায়, সম্প্রতি বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনের পর ৫ মার্চ মাটিডালি বাজার সংলগ্ন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের ছাদে দলীয় একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং ৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন-এর কার্যালয়’ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি। এসময় অারো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবাহ সহ দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ।

জানা যায়, সদ্য অনুষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সাবেক কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবাহ ঋণ খেলাপীর কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন রাজু এবং এলাকাবাসীর সন্দেহ নির্বাচনে প্রার্থী না হতে পারার কারণে গায়ের জোরে দখলের লক্ষ্যে ১৭নং ওয়ার্ড অফিসে(সরকারি সম্পত্তি) তালা লাগিয়ে দেয় এবং সেইসঙ্গে দলীয় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।

নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন রাজু জানান, আমি কারো সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ চাই না। সাবেক কাউন্সিলর সরকারি দলের লোক, তিনি ক্ষমতার জোরে অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি কেউ গায়ের জোরে অবৈধ দখল বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারেন না। আমি মেয়র সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সাবেক কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ মেজবাহ জানান, নব নির্বাচিত কাউন্সিলরকে জানিয়েছি ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি জানান, "অফিসটি উদ্বোধনের কথা ছিল বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু সাহেবের। ফোনে অসুস্থতার কথা বলে তিনি আমাকে জেলা কমিটির পক্ষে উদ্বোধনের দায়িত্ব পালনের জন্য জানান। অফিস উদ্বোধন সংক্রান্ত কোন কিছু আমার জানা ছিল না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর নির্দেশে জেলা কমিটির পক্ষে আমি দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।"

(আর/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)