ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় এক গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বর্তমানে আহত নারী সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছেন। 

ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের এক চ্যাইল্লাগো বাড়ীতে।

ভুক্তভোগি গৃহবধূ হোসনা আক্তার বলেন" শ্বশুর হজল হক অসুস্থ্য থাকার হওয়ার খবর শুনে বড় বোন সুমি তার শ্বশুরকে দেখতে আসে, দেখা সাক্ষাত শেষে যাওয়ার সময় হলে স্বামী রফিক উল্যাহ (২৭) ব্যাবসা করবে বলে আমার বোনের কাছে ১ লাখ টাকা দাবী করে এতে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমি বাঁধা দিলে রফিক এবং তার ভাই সোহেল, সুমন শ্বাশুড়ী হালিমা খাতুন আমি এবং আমার বোনকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত আহত করে, পরে আমি মোবাইলে আমার মাকে বিষয়টি জানালে আমার মা আমাদের উদ্ধার করতে আসলে আমার মাকেও মারধর করে। সে আরো দুটি বিয়ে করে তার নির্যাতন সে স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে চলে যায়, আমাকে বিয়ে করার পর আমার বাবা মারা যায় সে থেকে রফিক আমাকে তাড়িয়ে আরেক নারীকে বিয়ে করার জন্য যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় আমাকে মারধর করে। আমি এ সন্তানকে নিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছি আমি এর বিচার চাই।

নির্যাতনের শিকার আহত গৃহবধূ সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামেন মৃত ডাক্তার জয়নালের দ্বিতীয় কণ্যা। এলাকাবাসী বলেন, দির্ঘদিন ধরে রফিক হোসনাকে নির্যাতন করে আসছে, তার বাবা না থাকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।

এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান আহত হোসনা বেগম।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রফিকেরর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন 'সে আমার কথামত চলেনা পরে তিনি ফোনটা বন্ধ করে দেন।

এ ব্যপারে জানতে স্থানীয় ভূঁইয়ারহাট ফাঁড়ি থানার এস আই শাহ আলম বলেন, এ বিষয়ে আমরা জানতে পারেনি, কেউ অভিযোগও করেনি, অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।"

(এস/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)