শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের শ্রীবরদী উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ফাটলযুক্ত খুটি ও পুরাতন সরঞ্জামাদি দিয়ে পুরাতন লাইন সংস্কার ও মেরামতের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ নিম্নমানের খুঁটি দিয়ে করা এ কাজ শেষ হওয়ার আগেই যেকোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার ফতেহপুর আ.রউফ সাহেবের মিল থেকে নয়ানী গ্রামের আফসার মেম্বারের বাড়ি এবং চেয়ারম্যান বাজার পর্যন্ত পুরাতন লাইনের সংস্কার ও মেরামত কাজের উদ্যোগ নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ। এজন্য এবছরের ২৯ জানুয়ারি মেসার্স লাইট গার্টেন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৬১ টাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়।

সে অনুযায়ী উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেরপুর বিউবো থেকে ২৫টি ১১ মিটার এসপিসি খুঁটি, ১২ টি ৯ মিটার এসপিসি খুঁটিসহ প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ নিয়ে এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু করে। কিন্তু কাজ শুরু পর থেকেই নিম্নমানের মালামাল বিশেষত: ঝুঁকিপূর্ণ ফাটলযুক্ত খুটি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠে। স্থানীয় এলাকাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১১ মিটার এসপিসি ২৫ খুঁটির মধ্যে ২২টি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে যার অধিকাংশ খুঁটিতেই রয়েছে ফাটল ও বড় বড় গর্ত। যেকোন মূহুর্তে এগুলো ভেঙ্গে পড়তে পারে।

ফতেহপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল হালিম, লুৎফর,জজ মিয়া, আব্দুল মালেকসহ অনেকেই জানান, যে খুঁটিগুলো লাগানো হচ্ছে তার গায়ে বড় বড় গর্ত ও ফাটল রয়েছে। এনিয়ে আমরা ঠিকাদারের লোকদের সাথে কথা বললেও কোন কাজ হচ্ছে না। তারা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, সংস্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের ফলে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লাইট গার্টেনের স্বত্বাধিকারী মো. দুলাল মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজে ব্যবহৃত খুঁটিগুলো বিউবো কর্তৃক সরবরাহকৃত, কাজেই এর ভাল-মন্দ দেখার মালিক বিদ্যুৎ বিভাগ। এলাকাবাসীর অভিযোগে এখানে কোন কাজ হবে না। আপনারা লেখালেখি করলে এলাকায় বিদ্যুতের কাজটিই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

শ্রীবরদী বিদ্যুৎ কারিগরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেলিম মিয়া জানান, আমরা সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখেছি যে খুঁটি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা বিপদজনক। আমরা এ খুঁটি দিয়ে কাজ না করার জন্য বলে এসেছি।

শ্রীবরদী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান বলেন, ভাঙ্গা পুল দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। শেরপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, খুঁটিগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই খুঁটিগুলো লাগানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এর ভালমন্দ বুঝতে পারবে না। তারপরও বিষয়টি আমি দেখবো।


(এইচবি/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৪)