শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : সরকারের মেগা প্রকল্প বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানীর কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে। করোনার কারনে গত এক বছরে এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমানে ৭ হাজারের অধিক শ্রমিক দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ৬২ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষে এবছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাবে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রামপাল বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেডের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুইদেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এমইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারী ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল থার্মার পাওয়ার কোম্পানীর (এনপিপিসি) মধ্যে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাগেরহাটের রামপালে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর। পশুর নদীর তীরে বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৮৩৪ জমি অধিগ্রহন শেষে ২০১৭ সারের ৪ এপ্রিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গতবছরের মার্চে করোনা পরিস্থিতির কারনে দেড় হাজারের অধিক ভারতীয় দক্ষ শ্রমিক দেশে ফিরে যাওয়ায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির নির্মাণ কাজ কিছুটা থমকে দাড়ায়। এসব ভারতীয় শ্রমিক ফিরে আসায় ও একদল তরুণ প্রকৌশলী যোগ দেয়ায় দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে ৭ হাজারের অধিক শ্রমিক নির্মাণ কাজ করছে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক আরও জানান, বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লার, টারবাইন্ড, কুলিং টাওয়ার, কোর্ল্ডশেড ইয়ার্ড, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জেটিসহ প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ মহাযজ্ঞ চলছে। পরিবেশগত সকল আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তিতে অল্প কয়লা ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে।

সুপার থার্মার পাওয়ার এই প্লান্টের প্রথম ইউনিট আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ৬২ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে। বাকি ৩৮ শতাংশ কাজ শেষে ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। আর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ০৯, ২০২১)