নোয়াখালী প্রতিনিধি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিজমি সংরক্ষণ নীতিমালা থাকলেও দায়িত্বশীলদের বস্তবায়নে যথেষ্ট উদাসিনতা দেখা যায়। নোয়াখালীতেও তার ব্যতিক্রম নয়।জেলার সদর ও কবির হাট উপজেলার একাধিক জায়গায় অতি মুনাফা খোর দালালদের দৌরাত্ম্যে উর্বর কৃষি জমি নষ্ট করে দেদার মাটি নিয়ে যাচ্ছে
কোম্পানিগঞ্জের মিতালি ব্রিকসসহ একাধিক ইটভাটায়। এতে কৃষি বিভাগ ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্বভোগী। অপরিকল্পিত ভাবে মাটি ও বালু পরিবহনে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। ফলে ছড়াচ্ছে সর্দি -কাশিসহ নানবিধ অসুখ।

সরোজমিনে গিয়ে দেখাযায়- সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের করিমপুর মাইজদী কালামিয়ার পোল -কোম্পানিগঞ্জ সড়কের মিফতাহুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসার পিছনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এস্কেলেটর মেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

এস্কেলেটর মালিক ও মাটির মাঝি স্হানীয় করিম পুর গ্রামের জায়দুল হককে মুটোফোনে- কোথায় এবং কেন কৃষি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এটা আমার ব্যাপার, কোন অনুমতি নিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান বাহাদুর কে মৌখিক ভাবে বলেছি। সাংবাদিকরা সব পারে, পছা সামুকে পা কাটা যায় -আপনি আসুন চায়ের দাওয়াত রইল ভাই, আমাদের ও লোক আছে।

অন্যদিকে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের সল্যাঘটিয়া গ্রামে জাহাঙ্গীরের বাড়ীর পাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন। এবং নরোত্তম পুর ইউনিয়নের খেরির দিঘির উত্তরে শতাধিক একর জুড়ে দীর্ঘদিন কৃষি নষ্ট করে মাটি নিয়ে বসুর মিতালি ব্রিকস সহ ভিবিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করছে দালালচক্র। এছাভা বাটইয়া ইউনিয়নে ফরাজি বাজারের - ওটারহাট সড়কের সাথে কৃষি জমির মাটি খাচ্ছে মাটি খেকোরা, চলছে কৃষি জমি দংশের মহোৎসব। এ যেন দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে সদর ও কবির হাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের একাধিক বার ফোন দিলে তারা মোবাইল রিসিভ করেন নি।

সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারিকুল আলম মুটোফোনে বলেন, আমি স্ব-স্ব এসিল্যান্ড কে বিষয়টি দেখার জন্য বলবো। এ রিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত কোন ব্যবস্হা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

(এস/এসপি/মার্চ ০৯, ২০২১)