শেরপুর প্রতিনিধি : পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শেরপুরের চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে আরও ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কামারের চর ইউনিয়নে ৬ নং চর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আরও ৮ টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই এলাকার ৩০ টি পরিবার ঘরবাড়ী বসতভিটা থেকে ঘরবাড়ী ভেঙ্গে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান হাবীব জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশগুলো দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৬ নং চর, পয়স্তির চর, গোয়ালের চর এলাকার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ইতোমধ্যে ৬ নং চরের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীণ হয়েছে।


চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী বলেন, কুলুরচর গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের ফলে ভিটেমাটি ফেলে লোকজন তাদের ঘরবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।


এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ত্রাণ সহায়তা হিসেবে কুলুর চর ও ৬ নং চর এলাকায় ২৩২ টি পরিবারের মাঝে ৫ কেজি করে চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন এবং ম্যাচ ও মোমবাতি বিতরন করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এসব ত্রাণ খুবই অপ্রতুল বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।


(এইচবি/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৪)