স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন পিছিয়ে আগামী ২১মে ধার্য করা হয়েছে। সোমবার তার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

আজ একই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন নির্ধারিত ছিল। তবে বিচারিক আদালতের অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার রিভিশন আবেদন আদেশ অপেক্ষমাণ থাকায় সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। এই আবেদন মঞ্জুর করে মামলা দুইটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ২১ মে পুননির্ধারণ করে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। তবে শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির না থাকায় ১৯ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপর দুই আসামি ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তত্কালীন একান্ত সচিব, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ'র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ও অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


(ওএস/এটি/এপ্রিল ২১, ২০১৪)